প্যারিস অলিম্পিক শুরু হতে না হতেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হয়েছে একাধিক ভুল। ঘোষকেরা দেশের নাম ভুল তো বলেছেই, অলিম্পিকের পতাকাও তুলে ধরেছে উল্টো করে। বিতর্ক তৈরি হয়েছে অলিম্পিকের মশাল জ্বালানো নিয়ে একটি ভুয়া ভিডিওকে ঘিরেও।
দেশের নাম ভুল বলার ঘটনাটা ঘটে সেইন নদীতে। যখন পতাকাবাহী একেকটি দল নৌযানে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছিল। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়াকে বহনকারী দলটিকে ঘোষক ফরাসি ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই পরিচয় করিয়ে দেন উত্তর কোরিয়ার দল হিসেবে। বলে বসেন, ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।’ যেটা উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম! অথচ উত্তর কোরিয়া দলটি যখন একইভাবে নৌযানে করে গেছে, তখন কিন্তু দলটির নাম সঠিকভাবেই উচ্চারণ করা হয়েছে।
চির বৈরিতায় ঘেরা দুটি দেশ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দুই কোরিয়া ভাগ হওয়ার পর থেকে যে বৈরিতার শুরু। সাম্প্রতিক সময়ে সেই সম্পর্ক আরও অবনতি হয়েছে।
ঘোষক ভুল করলেও টেলিভিশনে নামগুলোয় ভুল ছিল না। যদিও বিষয়টা সহজভাবে মেনে নেয়নি দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণলায় বলেছে, বিব্রতকর এই ভুলের জন্য সরকারি পর্যায়ে ফ্রান্সের কাছে অভিযোগ জানাবে তারা।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডলে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
দ্বিতীয় বিতর্কিত ঘটনাটি ঘটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ দিকে অলিম্পিকের পতাকা উত্তোলনের সময়। পতাকা ঠিক ভাবে না দেখেই তুলে দেন ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পতাকা তোলার সময় দেখা যায়, উল্টোভাবে উঠছে অলিম্পিকের পতাকা। ওপরে নীল, কালো এবং লাল রিংয়ের বদলে রয়েছে হলুদ এবং সবুজ। এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিতর্ক তৈরি হয়েছে, মশাল জ্বালানোর একটি ভিডিওকে ঘিরে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, ফ্রান্সের সাবে অলিম্পিয়ানেরাই মূল মশালে অগ্নি সংযোগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্যারিসের একটি গির্জা থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্বালানো হচ্ছে মশাল। কিন্তু অলিম্পিকের আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ভিডিওটি ছিল ভুয়া।