Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

অবশেষে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উন সুক ইয়েল।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উন সুক ইয়েল।
[publishpress_authors_box]

দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উন সুক ইয়েলকে অভিশংসন প্রস্তাব পাস করাতে সক্ষম হলেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।

এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে ইয়েলকে। হার মেনে নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি আমার যাত্রা অল্প সময়ের জন্য থামাচ্ছি।”   

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান বলছে, কোনও কারণে প্রেসিডেন্ট অপসারিত হলে তার প্রধানমন্ত্রী দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেবেন।

সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হান দাক-সুক হতে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়েলই।

ইয়েল দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট। রক্ষণশীল এই নেতার আগে ২০১৭ সালে অভিশংসনের কারণে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল পার্ক গিউন-হেকে।

রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার ইয়েলের দল পিপল পাওয়ার পার্টির কয়েকজন সদস্য প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলা বিরোধী জোটে যোগ দিলে বুঝতে বাকি থাকে না, এই দফায় ইয়েলের রক্ষা নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে ১৯২টি আসনই বিরোধীদের দখলে। আর প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করতে দরকার ২০০টি ভোট।

ডিসেম্বরের শুরুতে দেশে মার্শাল ল’ বা সামরিক আইন জারির চেষ্টা করলে ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়েলের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে প্রথম অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধীরা।

কিন্তু সেবার প্রয়োজনীয় ২০০ ভোটের চেয়ে ৮টি ভোট কম পড়ায় অভিশংসন চেষ্টায় বিফল হন তারা।

অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর শনিবার ভোট দেন দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা।

এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফায় অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়ে ২০৪টি। বিপক্ষে পড়ে ৮৫টি ভোট। তিন আইনপ্রণেতা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। আর আটটি ভোট বাতিল করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার উ ওন-শিক বিবিসিকে বলেন, অভিশংসনের নথির কপি ইয়েলের হাতে যাওয়ার পর তার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব স্থগিত করা হবে।

অন্যদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোনও একসময় প্রেসিডেন্ট ইয়েলকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত। যদি অপসারণ করা হয়, তাহলে আগাম নির্বাচন ডাকা হবে।

গত ৩ ডিসেম্বর ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিসমূহের’ মূলোৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ দেশের সেনাবাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়েল। তার এই পদক্ষেপে হতভম্ব হয়ে যায় বিরোধী দল থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার আপামর জনসাধারণ। 

শুরু হয় দেশব্যাপী প্রতিবাদ। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট ইয়েলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব তোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

অবশ্য ৭ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোটের আগ মুহূর্তে জাতির কাছে ক্ষমা চান ইয়েল। তিনি বলেন, “আমার সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্তে জনগণ মনে আঘাত পেয়েছে। মরিয়া হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। এজন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত