Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জার্মানিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে স্পেন

er
[publishpress_authors_box]

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে যখন মিকেল মেরিনো গোলটা করলেন, তক্ষণে স্টুটগার্টের জার্মান দর্শকেরা দাঁড়িয়ে গেছেন। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে পড়া ম্যাচেও যেভাবে শেষ মিনিটে গোল করে জার্মানদের নতুন করে স্বপ্ন দেখালেন ফ্লোরিয়ান রিজ, সেই স্বপ্নকে আকাশ ছুঁতে দিলেন না মেরিনো।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে শুক্রবার দিবাগত রাতে জার্মানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্পেন। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত একমাত্র দল যারা সবগুলো ম্যাচেই জিতেছে। গ্রুপ পর্বে স্পেন জেতে ৩ ম্যাচই। এরপর নক আউট পর্বেও ৩টি ম্যাচেই জয় স্পেনের। ম্যাচে ১টি গোল করেছেন দানি ওলমো, আরেকটি করিয়েছেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি।

গোলের পর স্পেনের মিকেল মেরিনোর উল্লাস।

৯ জুন সেমিফাইনালে স্পেন মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফ্রান্সের মধ্যেকার জয়ী দলের সঙ্গে।

স্বাগতিক কোনও দলকে নকআউটে না হারানোর বাজে রেকর্ড নিয়ে স্টুটগার্ডে  আসে স্পেন। জার্মানির ছিল ঘরের মাঠের সমর্থন। কিন্তু সেই সমর্থনও কাজে এলো না।

এর আগে কখনো ইউরোর ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে গোল দেওয়া হয়নি স্পেনের। এমন এক সমীকরণ সামনে নিয়ে মাঠে নেমেছিল। প্রথমার্ধে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ হলেও গোল হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যাওয়া স্পেনের। ৫১ মিনিটে দানি ওলমোর গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। লামিন ইয়ামালের বাড়িয়ে দেওয়া বলে গতির ওপরেই শট নেন। জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার ঝাপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি (১-০)।

অথচ এই দানি ওলমোকে শুরুতে রাখেননি কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। ম্যাচের ৭ মিনিটে টনি ক্রুসের ফাউলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন পেদ্রি। এরপরই নামানো হয় ওলমোকে। শেষ পর্যন্ত ওলমোই স্পেনকে এনে দিলেন প্রথম গোল।

মেরিনোর হেড খুঁজে পায় জাল। ছবি: সংগৃহীত।

ম্যাচের প্রথমার্ধটা দুই দলই পার করেছে নিজেদের পায়ে বল রাখার চেষ্টায়। আক্রমণের বেলায় দুই দলই কিছুটা হলেও ছিল ধীরগতির। প্রথমার্ধে বড় আক্রমণ খুব একটা দেখা যায়নি। এর মাঝেও অবশ্য এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়ে যায় স্পেন। ইয়ামালের ফ্রি-কিক আর ফ্যাবিয়ান রুইজের ডিবক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শট গোলবারের লক্ষ্যে না থাকলে বেড়ে যায় স্প্যানিশ দর্শকদের হতাশা।

জার্মানি বল দখলে এগিয়ে থাকলেও স্প্যানিশ গতির তুলনায় কিছুটা পিছিয়েই ছিল পুরোটা ম্যাচে। প্রথমার্ধে খুব বেশি বলার মতো সুযোগ ছিল না তাদের সামনে। তবু কাই হাভার্টজের ২১ মিনিটে পাওয়া সুযোগটা জার্মান ভক্তদের পোড়াতেই পারে।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতি ফেরে ৫০ মিনিটে দানি ওলমোর গোলের পরে। জার্মানির একের পর এক আক্রমণ ম্যাচে যোগ করেছিল বাড়তি উত্তেজনা। নিকোলাস ফুলক্রুগকে নামিয়েছিলেন কোচ নাগেলসম্যান। জার্মানিরও সম্ভাবনা বেড়েছিল তাতে।

ফুলক্রুগ ও হাভার্টজের জুটি এরপর বেশ খানিকটা সময় ভয় ধরায় স্পেনের ওপর। যদিও একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দিয়ে স্পেনকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন গোলরক্ষক উনাই সিমন।

৭৬ মিনিটে ম্যাচে নিজেদের সেরা সুযোগ পেয়ে যায় জার্মানি। নিকোলাস ফুল্ক্রুগের মাটি কামড়ানো শট ফিরে আসে গোলবার থেকে। ৮০ মিনিটে ফাঁকা পোস্টে গোল মিস করেন হাভার্টজ।

একটি গোল করেছেন। একটি করিয়েছেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তো দানি ওলমোই হবেন।

৮৯ মিনিটে জার্মানি পায় নিজেদের কাঙ্ক্ষিত গোল। জটলার মাঝে জশুয়া কিমিখের হেড থেকে বল পেয়ে ভলিতে গোল করেন ফ্লোরিয়ান ভির্টজ। ম্যাচে ফেরে সমতা। ৯০ মিনিটের লড়াই শেষে জার্মানি-স্পেনের ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

এবার ১১৯ মিনিটে স্বাগতিক জার্মানির হৃদয় ভাঙে স্পেন। ওলমোর দারুণ একটা ক্রস। আনমার্কড মিকেল মেরিনো লাফিয়ে শূন্যে উঠে হেডে বল ঢোকান জালে (২-১)।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত