Beta
সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্পন্সরের ৩০ ভাগই পকেটে যায়, ফুটবল প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ

বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাফুফে
বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাফুফে
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

[publishpress_authors_box]

বাফুফে নির্বাচনের চার দিন আগে হঠাৎ বাফুফে ভবনে গিয়ে হাজির যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাফুফের আসন্ন নির্বাচন, ফুটবলের অবস্থা ও জেলা ফুটবল এবং ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে (সোমবার) ২১ অক্টোবর তিনি নিজের পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট করেছেন। সেখানে যেমন তার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে তেমনি বাফুফের আর্থিক অনিয়ম নিয়েও কথা বলেছেন আসিফ মাহমুদ।

ফুটবলে চলছে এখন নির্বাচনী ডামাডোল। কিন্তু ক্রীড়া উপদেষ্টা নানা কারণে এই নির্বাচনের বিপক্ষে, “পূর্বের কাউন্সিলরদের স্বস্থানে রেখে নির্বাচন করার বিপক্ষে আমি। এখনও বিপক্ষে। কিন্তু ফিফার রেগুলেশনস ও বাফুফের যে স্বায়ত্বশাসন, সেটার প্রতি আমাদের সম্মান রাখতে হবে। আমরা ডিএসএগুলো (জেলা ক্রীড়াসংস্থা) ভেঙে দিয়েছি। আগের যে পলিটিক্যাল নেক্সাস স্পোর্টসকে নিয়ন্ত্রিত করত তারা তো ডিএফএতে (জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) রয়ে গেছে। এটা ডিএসএতে সামনে আর থাকবে না। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি ডিএফএ’র অনেক কাউন্সিলরই পলাতক আছেন। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে।”

বাফুফের ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ক্রীড়া উপদেষ্টার একটা ধারণা হয়ে গেছে। সেটা যে মোটেও ভাল নয়, তা প্রকাশ করেছেন। তার জানা-বোঝা-শোনা থেকে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, “প্রান্তিক পর্যায়ে এখনও ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১০ সালের পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেই জনপ্রিয়তা নেই। এজন্য বাফুফে অনেকাংশে দায়ী, এতদিন যারা দায়িত্বে ছিলেন। এমনও শুনেছি- এখানে পৃষ্ঠপোষকতা এলে ৭০ ভাগ ব্যয় হয়, বাকি ৩০ ভাগ পকেটে যেত।”

আর্থিক জালিয়াতি করায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা।

বাফুফের ওপর ফিফার একটা নিয়ন্ত্রণ আছে। তাই সরকার চাইলে যখন-তখন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আসিফের সেটা মোটেও পছন্দ হচ্ছে না, “স্বায়ত্বশাসনের প্র্যাকটিস মাঝেমাঝে ইতিবাচক, আবার কখনও নেতিবাচক হয়। আমরা বাফুফেতে সেটা নেতিবাচকভাবেই দেখে আসছি। সবসময় একটা কথা বলা হয় এখানে সরকার কোনও পদক্ষেপ নিলে ফিফা নিষিদ্ধ করে দেবে। কিন্তু বাফুফের নামের মধ্যেই তো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আছে।”

সঙ্গে যোগ করেন, “বাংলাদেশ সরকারের যদি কিছু নাই থাকে, তাহলে তো নামেরই স্বার্থকতা থাকে না। সুযোগ-সুবিধার জায়গায় মাঠ বলেন বা অন্য কিছু সেখানে অবশ্যই সরকারের (সহায়তা) আছে। সেই জায়গা থেকে আমরা একটা পলিসি নিয়েছি, ইতিবাচক হস্তক্ষেপের কথা বলেন বা ইতিবাচক স্টেকের কথা বলেন, এ জায়গায় আমাদের কিছু কাজ করার প্রয়োজন আছে।”

ফুটবলের ভালো’র জন্য ফিফার সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা।

ক্রীড়া উপদেষ্টা চাইছেন জেলার ফুটবলকে আবার সচল করতে। জেলার ফুটবল ঝিমিয়ে পড়ার দায় চাপাচ্ছেন বাফুফের কাঁধে, “জেলা টুর্নামেন্টগুলো আমরা আবার চালু করব। ডিএসএর মাধ্যমে আমরা ক্রিকেটসহ অন্য খেলাগুলো চালু করব। কিন্তু ফুটবলের ব্যাপারটা ভিন্ন। এখানে ডিএফএ’র ব্যাপারটা বাফুফে দেখে। আমাদের সাথে ডিএসএর যোগাযোগ থাকে, ডিএফএর সাথে থাকে না। এক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায়টা আমি বাফুফেকেই দেবো। ফুটবল রানিং (জেলা লিগ করতে না পারায়) রাখতে না পারার ক্ষেত্রে। সামনের দিনে কীভাবে এই সমন্বয়টা হবে, এ নিয়ে আমরা কাজ করব।”

তিনি দেখেছেন, “ডিএফএগুলো ভোট ব্যাঙ্ক বা ভোট এলেই কার্যকর হয়। আসলে আমি যে অভিযোগগুলো পাচ্ছি বা যে ফিডব্যাকগুলো পাচ্ছি তাতে নির্বাচন এলেই কার্যকর হয়, বাকি সময় সেভাবে কার্যক্রম থাকে না। যেখানে ডিএফএর কাজ হওয়া উচিত স্থানীয়ভাবে ফুটবলকে তুলে আনা। এই জায়গাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় অবশ্যই ফিফাসহ সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানের দিকে আমরা যেতে পারব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত