অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার বিসিবিতে এসেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সভাপতিহীন বিসিবি তার আগমনকে ঘিরে হয়ে ওঠে আড়ম্বর ও লোকে লোকারণ্য।
এই ভীড়ে অবশ্য এতদিনের চেনা মুখ বিসিবির পরিচালকরা ছিলেন না। বিসিবি ঘুরে বোর্ডের কোন জায়গাগুলোতে উন্নয়ন করা দরকার তার একটা নোট নিয়েছেন বলে জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিসিবিতে আসেন নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা। বিসিবির কোন পরিচালকরা না থাকলেও চাকরি করা উপস্থিত কর্মকর্তারা ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবালও। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসার আধাঘণ্টা আগে বিসিবিতে চলে আসেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। এছাড়া প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন, নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমন উপস্থিত ছিলেন।
বিসিবিতে এসে প্রথমেই বোর্ড সভা কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। এরপর তামিম ইকবাল নিজেই বিসিবি অফিস থেকে শুরু করে ক্রিকেটের সব অবকাঠামো ঘুরে দেখিয়েছেন। ভিআইপি গ্যালারি, ড্রেসিংরুম, একাডেমি ভবন, একাডেমি মাঠ, প্রেস বক্স, স্টেডিয়াম, ইনডোর সবকিছু দেখার সময় উপদেষ্টার পাশেই ছিলেন তামিম।
এরপর মিরপুর ক্রীড়াপল্লীও ঘুরে দেখেছেন আসিফ মাহমুদ। বিসিবি ও ক্রীড়াপল্লীর যেসব দিকগুলোয় উন্নয়ন করা প্রয়োজন তার একটা নোট নিয়েছেন তিনি। বিসিবি মিডিয়া চ্যানেলে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, “নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর আমাদের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ফ্যাসিলিটিজগুলো আছে সব ঘুরে দেখেছি। আজকে বিকেএসপিতে যাওয়ার কথা ছিল, যেতে পারিনি। বিসিবি ও ক্রীড়া পরিদপ্তরে আসা হয়েছে। নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে দেখা হলো। তারা সামনে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। এবং যে ব্যাপারগুলো এখানে উন্নয়নের প্রয়োজন আছে সেসবের নোট নিলাম। আশা করি সামনে এগুলো আমরা ঠিক করে দিতে পারব।”
আসিফ ভূঁইয়ার আগমন উপলক্ষে ক্রিকেট বোর্ডের সবার থাকার কথা থাকলেও পরিচালকরা ছিলেন না। ফলে উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন কেবল তামিম ইকবাল। বাঁহাতি এই ওপেনারাই উপদেষ্টাকে সব কাঠামো ঘুরে দেখিয়েছেন। তামিমের দায়িত্ব ঠিক কী ছিল, এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, “এই বিষয়টা (তামিমের আসা) আসলে আমি অবগত না। তার সঙ্গে উপদেষ্টার কথা হয়েছে। সবসময় পাশে ছিলেন। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।”