Beta
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন

ক্রিকেটের তুলনায় বাকিদের চাওয়া কমই

দেশের ১০টি ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের ১০টি ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত।
[publishpress_authors_box]

মঙ্গলবার দুপুরে আর্চারি, শ্যুটিং, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ভলিবল, বাস্কেটবল, ভারোত্তোলন, ক্যারম ফেডারেশন ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।

সভাপতি সময় দিতে পারেননি বলে সভায় যোগ দেয়নি টেবিল টেনিস ফেডারেশনের কর্তারা। প্রায় সকলেই নানা অভাব-অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নতুন মন্ত্রীর সামনে। তাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন নাজমুল হাসান। সভা শেষে তিনি বলেন, ‘আজকে যে ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসলাম, এর মধ্যে দুটি ফেডারেশনের একসঙ্গে একটা কমপ্লেক্স করে দেওয়া ছাড়া বাকি ফেডারেশনগুলো যা চাহিদা এবং ওদের বর্তমান পরিস্থিতি কি সেগুলো জানতে চেয়েছিলাম। এদের বাজেট কত, কি কি সুযোগ সুবিধা দরকার এগুলো জানতে চেয়েছি। এক ফেডারেশন বলেছে, তাদের একটা জায়গা দরকার। এখনই সেটা দিয়ে দেওয়া কঠিন। কারণ না জেনে বলতে পারবো না কোথায় জায়গা দিতে পারবো ।”

পূর্বাচলে ৫ ফেডারেশনের জায়গা দেওয়া হবে জানিয়ে বলেন, “বিসিবি পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করছে। সেখানে আমরা ৫টি ফেডারেশনকে জায়গা করে দিবো। সেই ৫টা কারা, সেটা নির্বাচন করার জন্য ওদের সঙ্গে বসেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে একটা ঠিক করে রেখেছিলাম, সেটা এখানে এসে দেখলাম মিলে গেছে। বিসিবি ওটা করেই দিবে। এটাও ধরে নিচ্ছি, ওই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।”

অন্য অনেক ফেডারেশনের চাহিদার মাত্রা শুনে মন্ত্রী একটু অবাকই হয়েছেন, “অন্য ফেডারেশনগুলোর আর্থিক চাহিদা আছে। তবে আমার যা ধারণা ছিল, তার চেয়ে অনেক কম। আমি যা ভেবেছিলাম তার ৫ শতাংশও না। এখনও অনেকের সঙ্গে বসতে বাকি আছে। এখন পর্যন্ত যা চাহিদা পেয়েছি তা পূরণ করা কঠিন কিছু না।” আগামী বাজেটে এসব নাও পূরণ হতে পারে বলে জানান তিনি, “ এই ৬ মাসের মধ্যে এটা পারবো কিনা জানি না। কারণ সামনে যে বাজেট আসবে, তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। ফান্ড কত-কি চাওয়া হয়েছে, এগুলো না জেনে বলতে পারছি না। তবে ছয় মাস পরে পরবর্তীতে বাজেটে এসব বিষয় যুক্ত করার চেষ্টা করবো। তারা যা চেয়েছে, সেগুলো পূরণ করার ব্যবস্থা করবো। যদি সরকারের তরফ থেকে না হয়, আমরা চেষ্টা করবো প্রাইভেট সেক্টর থেকে নিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করতে।”

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

আর্চারি ও শুটিংয়ের স্থায়ী জায়গার চাওয়া অনেক দিন থেকেই। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “আর্চারি ও শুটিংয়ের নাকি একটা জায়গা আছে গাজীপুরে। সেখানে একটা কমপ্লেক্স করার কথা। যেহেতু দুটি কমপ্লেক্স করতে হবে, কিছু সম্ভাব্য বাজেট করার ব্যাপার আছে, এর জন্য সময় লাগবে। তবে তাদের সঙ্গে আমরা আলাদা করে বসবো। শুটিং, আর্চারি, সাঁতার, ভলিবল, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলাদা করে বসবো। বাস্কেটবলের একটা সমস্যা ছিল, সেটা সমাধান হয়ে গেছে।”

শুটিং ও আর্চারি নিয়ে আলাদাভাবে বসার পরিকল্পনা আছে মন্ত্রীর, “ এখানে প্রত্যেকে তাদের অবস্থান জানিয়েছে এবং কে কি করতে পারে, জানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ান গেমস, এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্বকাপ। শ্যুটিং, আর্চারি অলিম্পিকের লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে। তারা বড় বড় প্রতিবেদন আমাদের দিয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে এগুলো নিয়ে বসতে হবে।”

মন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন,“ প্রত্যেকের লক্ষ্য ও অবস্থান সম্পর্কে শুনেছি। ওরা কী ভাবছে, কোথায় আছে, কোথায় যেতে চায়-এসব শুনেছি। আমি যে বলছি, আবার খুব কম সেটা না। ক্রিকেটের তুলনায় হয়তো খুব কম। বাস্তবতা, ফান্ড জোগাড় করা, সহজ হবে না সেটাও বুঝি। তবে আমার মনে হয় এইসব জোগাড় করা সম্ভব।”

ফেডারেশনগুলোতেও প্রয়োজনে নেতৃত্বের বদল আনতে চান তিনি, “ আমি প্রথমে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসেছি, তাদের সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসার পরিকল্পনা ছিল। সেটা বসা শুরু করেছি। এরপর অবশ্যই জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসবো। এখনই ওই চিন্তা নিয়ে বসবো না যে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের বদলে ফেলবো, এরকম না। কাজ করতে গিয়ে যদি দেখি কোথায় পরিবর্তন আনা দরকার, সেটা অবশ্যই করবো।”

প্রতিটি ফেডারেশনের কাছে জবাবদিহিতা চাইবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রথম দিনই বলেছিলাম। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, যাকে যা দেওয়া হবে, তার কড়ায় গন্ডায় হিসাব নেওয়া হবে। সেটা সঠিক জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে কিনা, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত