৬ উইকেটে ৬৫৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া। গল টেস্টে তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হওয়া স্বাভাবিক- এই পিচে বোলারদের জন্য কিছু নেই। কিন্তু এই অস্ট্রেলিয়া যখন বোলিংয়ে এলো তখন পাল্টে গেল ধারণা। গলের উইকেট হয়ে উঠল বোলিং-স্বর্গ। যেখানে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কাকে চরম বিব্রতকর ও হতাশার রেকর্ডে ডুবাল সফরকারীরা।
টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। গল টেস্ট সফরকারীরা হেরেছে ইনিংস ও ২৪২ রানে। তাদের হতাশায় ডুবিয়ে নতুন ইতিহাস লিখেছে অস্ট্রেলিয়াও। লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ের রেকর্ড গড়েছে দলটি। সফরকারীদের বড় সংগ্রহের পর ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। ১৬৫ রানে গুটিয়ে গিয়ে পড়ে ফলোঅনে। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবে ২৪৭ রানে অলআউট স্বাগতিকরা।
এই টেস্টের আগে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার ছিল ভারতের বিপক্ষে। ২০১৭ সালে নাগপুর টেস্ট হেরেছিল ইনিংস ও ২৩৯ রানে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় ছিল মেলবোর্নে। ২০১২ সালে লঙ্কানদের ইনিংস ও ২০১ রানে হারিয়েছিল। গল টেস্ট দিয়ে সেটি ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
গল টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৫ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা আর মাত্র ২৯ রান যোগ করে অলআউট হয়। দিনেশ চান্ডিমাল করেন সর্বোচ্চ ৭২ রান। ২২ রান করেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার ম্যাথু কুনেমান। এই স্পিনার ৬৫ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। আরেক স্পিনার নাথান লায়নের শিকার ২ উইকেট।
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৬ রান করতে হারায় দুই ওপেনারকে। এরপর দিনেশ চান্ডিমাল (৩১) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (৪১) চেষ্টা করেন দলকে টেনে তোলার। মিডল অর্ডারেও প্রতিরোধ গড়ায় চেষ্টা চলেছে। কিন্তু ভালো শুরু করে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। কামিন্দু মেন্ডিস ৩২, ধনাঞ্জয়া ৩৯ ও কুশল মেন্ডিস করেন ৩৪ রান।
শ্রীলঙ্কার হারের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো যদি শেষ দিকে ঝড়ো ওই ইনিংসটা না খেলতেন জেফরি ভ্যান্ডারসে। লোয়ার অর্ডারে তিনি ৪৭ বলে খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার দুই স্পিনার- কুনেমান ও লায়ন পেয়েছেন ৪টি করে উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ২৩২ রানের ইনিংস খেলা উসমান খাজা।