বেশির ভাগ টেস্ট এখন শেষ হয় ৪ দিনে। ৫ দিন অনেকের জন্য ক্লান্তিকর। সেখানে কিনা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে টেস্ট হচ্ছে ৬ দিনের! অদ্ভুত শোনালেও শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের টেস্টের মেয়াদ ৬ দিনের। একটা সময় টেস্টে নিয়মিত বিরতি থাকত একটা দিন। তবে ঠাসা সূচিতে সেই প্রচলন উঠে গেছে ‘৯০ দশকের পরই।
কারণ কী?
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছিল শনিবার। ২০২২ সালের পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই ভোট দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রথম তিন দিনের খেলা শেষে বিরতি দেওয়া হয় চতুর্থ দিন। খেলোয়াড়রা যে যার মত যান ভোট দিতে।
নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা ঘুরে বেড়িয়েছেন গলের বিভিন্ন সৈকতে। গল টেস্ট তাই হয়ে যায় কার্যত ৬ দিনের। তৃতীয় দিন শেষে ঢেকে রাখা হয় পিচ। আজ (রবিবার) খেলা গড়িয়েছে চতুর্থ দিনের, যা আক্ষরিক অর্থে পঞ্চম দিন।
সবশেষ কবে হয়েছিল ৬ দিনের টেস্ট?
এর সঙ্গে জড়িয়ে বাংলাদেশের নাম। কারণটাও একই, জাতীয় নির্বাচন। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট চলার সময় জাতীয় নির্বাচন ছিল বাংলাদেশের। এজন্য টেস্টের মাঝপথে বিরতি রাখা হয় ভোটের একটা দিনটা।
চাইলে কী এড়ানো যেত না?
না, সে উপায় নেই। কারণ এসব ম্যাচের সূচি হয়ে যায় অনেক আগে। কোনো দেশের নির্বাচন কোন তারিখ হবে সেটা নির্ধারিত হয় সূচি তৈরির পর। তখন চাইলেই নানা জটিলতায় আর টেস্টের সময় বদলানো যায় না।
ভোট দিতে ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি
কামিন্দু মেন্ডিসের বাড়ি গলে। নিজের শহরে খেলা থাকায় সহজে ভোট দিতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু লাহিরু কুমারার বাড়ি ক্যান্ডিতে, যা গল থেকে ২২৫ কিলোমিটার দূরে। যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন কুমরা। আসিথা ফার্নান্ডো পাড়ি দিয়েছেন ৩৫০ কিলোমিটার।
রোমাঞ্চের অপেক্ষা
শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৩৪০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে দিমুথ করুনারত্নের ৮৩, দিনেশ চান্ডিমালের ৬১ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ৫০-এ লঙ্কানরা অলআউট ৩০৯ রানে। অ্যাজাজ প্যাটেল নেন ৬ উইকেট।
জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৫ রান। জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৮ উইকেটে ২০৭ করেছে কিউইরা। সোমবার শেষ দিনে শ্রীলঙ্কার দরকার ২ উইকেট আর নিউজিল্যান্ডের চাই ৬৮ রান। রাচিন রবীন্দ্র অপরাজিত রয়েছেন ৯১ রানে। তার ব্যাটেই চেয়ে এখন নিউজিল্যান্ড।