ডারবানে ঝড়ই বয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের ওপর দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামনে বৃহস্পতিবার অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন তারা। সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কা অলআউট মাত্র ৪২ রানে, তাও ১৩.৫ ওভারে। টেস্টে এটাই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোর এটা। আর বলের দিক থেকে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটি টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
মার্কো ইয়ানসেন নিয়েছেন ৭ উইকেট। জেরাল্ড কোয়েটজি ২টি আর ১ উইকেট কাগিসো রাবাদার। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছিল ১৯১ রানে। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম দিন শেষে প্রোটিয়াদের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৮০ রান। জবাবে দ্বিতীয় দিন ৪২ রানেই অলআউট লঙ্কানরা।
টেস্টে সর্বনিম্ন রানের স্কোর ২৬। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ডে ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন টেস্ট রান ছিল ৭১।
মার্কো ইয়ানসেন ৬.৫ ওভার বল করে ১৩ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট, এটা চলতি শতাব্দিতে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারদের মধ্যে সেরা। শ্রীলঙ্কার ১১ ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৫ জন। সর্বোচ্চ ১৩ রানের ইনিংস কামিন্দু মেন্ডিসের।
তৃতীয় ওভারে দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার দুঃস্বপ্নের যাত্রার শুরুটা করেন কাগিসো রাবাদা। পরের ওভারে ইয়ানসেন স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পাথুম নিশাঙ্কাকে। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর শুরু হয় যাওয়া-আসার মিছিল।
একটা সময় ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৩২ রান। একই স্কোরে আরও ৪ উইকেট হারায় তারা !লাহিরু কুমারা ও বিশ্ব ফার্নান্দো ১০ রানের জুটি গড়ে স্কোরটা ৫০-এ নিয়ে যাওয়ার আশা জাগিয়েছিলেন। তবে ইয়ানসেন দুজনকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের অলআউট করেন ৪২ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়ারা ৪০ ওভারে ৩ উইকেটে করেছে ১৩২ রান। তাদের লিড ২৮১ রান।