বিপক্ষকে ১৮০ বা বেশি রানের লক্ষ্য দিয়ে ঘরের মাঠে কেবল একবার হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ডাম্বুলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৭৯ করে তাই কিছুটা নির্ভার ছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। পাওয়ার প্লেতে তিনি ২ ওভার করান ২২ বছর বয়সী তরুণ পেসার চামিন্দু বিক্রমাসিংহেকে।
প্রথম ওভারে চামিন্দুর খরচ ১১ রান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দেন ১৬। তাতেই বৃষ্টিভেজা মাঠে আগুন ঝড়ানোর আত্মবিশ্বাস পেয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও এভিন লুইস। দুজনের তাণ্ডবে ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দুই ওপেনার ৯ ওভারেই গড়েছিলেন ১০৭ রানের জুটি। ৩৩ বলে ১১ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৬৩ করে ম্যাচ সেরা হন বেন্ডন কিং। এভিন লুইস খেলেন ২৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় ৫০। এরপর দ্রুত ৫ উইকেট হারালেও জিততে কষ্ট হয়নি সফরকারীদের।
ম্যাচ শেষে লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কা জানালেন পাওয়ার প্লেতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা, ‘‘আমার মতে, এটা আমাদের খারাপ বোলিংয় নয় বরং ছিল ওদের ভালো ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। আমি এখনও পরীক্ষা করছিলাম। চামিন্দুকে দিয়ে আমি পাওয়ার প্লেতে কয়েকটা ওভার করাতে চেয়েছিলাম, কারণ ও অলরাউন্ডার। এই পরিকল্পনা কাজ করেনি। হয়ত পরের ম্যাচে থিকসানাকে দিয়ে চেষ্টা করব। ভালো দিকটা হচ্ছে, আমরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি।’’
বৃষ্টিতে আধাঘণ্টা পর খেলা শুরু হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে ব্যাট করতে পাঠায় লঙ্কানদের। ২৭ রানে ২ উইকেট হারালেও আসালাঙ্কার ৩৫ বলে ৫৯ আর কামিন্দু মেন্ডিসের ৪০ বলে ৫১-তে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছিল স্বাগতিকরা।
২ উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। তবে ব্রেন্ডন কিং ও এভিন লুইসের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জেতা হলো না শ্রীলঙ্কার।