Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

কানাডায় মা ও চার শিশু সন্তানসহ ৬ শ্রীলঙ্কানকে হত্যা

কানাডায় বুধবার শ্রীলঙ্কার ছয় নাগরিককে হত্যা করা হয়। ছবি : রয়টার্স
কানাডায় বুধবার শ্রীলঙ্কার ছয় নাগরিককে হত্যা করা হয়। ছবি : রয়টার্স
[publishpress_authors_box]

সদ্য কানাডায় পাড়ি দেওয়া এক শ্রীলঙ্কান পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। সর্বকনিষ্ঠের বয়স দুই মাস।   

দেশটির রাজধানী অটোয়ার উপকণ্ঠে বারহেভেন এলাকায় স্থানীয় সময় বুধবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে জরুরি কল পেয়ে একটি বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। তারা দ্রুতই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে ফেলে। এরপর ঘরের ভেতরে ঢুকে হতাহতদের উদ্ধার করে।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই শ্রীলঙ্কান পরিবারের ছয় সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।        

নিহতরা হলেন- ৩৫ বছর বয়সী নারী দারশানি বানবারানায়েকে, তার সাত বছরের ছেলে ইনুকা বিক্রমাসিংহে, চার বছরের ছেলে অশ্বিনী বিক্রমাসিংহে, দুই বছরের মেয়ে রিনিয়ানা বিক্রমাসিংহে ও দুই মাস বয়সী মেয়ে কেলি বিক্রমাসিংহে।         

এছাড়া নিহতের তালিকায় আছেন ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, নাম আমারাকুনমুবিয়ানসেলা গে গামিনি আমারাকুন। তিনি ওই পরিবারের পরিচিত।           

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত নারীর স্বামীকে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ১৯ বছর বয়সী তরুণ ফ্রেব্রিও ডি-জয়সাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। তিনি ওই পরিবারের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন। 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ সহিংসতা’ উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস বলেন, “শ্রীলঙ্কার ওই পরিবারের একেবারেই নিরপরাধ সদস্যদের ওপর বিবেকবর্জিত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।”    

অটোয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন স্টাবস। এই ঘটনাকে ‘প্রকৃত ট্র্যাজেডি’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, কানাডার রাজধানী শহরে এমন একটি ঘটনার ‘উল্লেখযোগ্য’ প্রভাব থাকবে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা থেকে কানাডায় আসা সম্প্রদায়ের ওপর এই ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে বাধ্য।

বারহেভেনে বসবাসরত অভিবাসী শ্রীলঙ্কান ও বাসিন্দাদের ঘটনাস্থল থেকে দূরে অবস্থান করার আহ্বান জানান স্টাবস।

এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অটোয়ার মেয়র মার্ক সাটক্লিফ তার এক্স অ্যাকাউন্টে বলেন, “আমরা নিরাপদ পরিবেশে বাস করি বলে গর্ব করে আসছি। কিন্তু এ ঘটনার খবরে রাজধানীর সব বাসিন্দা মর্মাহত হয়েছেন।”  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত