Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

মাসুম রেজার নাটক ‘পারো’-তে অভিনয় জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ: সুষমা সরকার

সুষমা সরকার, দেশ নাটক, পারো, মঞ্চ নাটক, থিয়েটার
মঞ্চ নাটকে দর্শকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াকে অনেক বড় পাওয়া মনে করেন সুষমা সরকার।
[publishpress_authors_box]

মাসুম রেজার রচনায় দেশ নাটকের নতুন প্রযোজনা ‘পারো’। নাটকটিতে একাই সাতটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী সুষমা সরকার। প্রথম থেকেই নাটকটি দর্শক মনে বেশ সাড়া ফেলেছে। ২৪ অক্টোবর নাটকটির নবম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে মহিলা সমিতি মঞ্চে। তার আগে সুষমার সঙ্গে হলো কিছুক্ষণ কথোপকথন।

সকাল সন্ধ্যা: একটানা একঘণ্টা, একাই সাতটি চরিত্র। ফের মঞ্চে দাঁড়াচ্ছেন, কেমন থ্রিল অনুভব করছেন?

সুষমা সরকার: প্রথমত অনেকদিন পর মঞ্চে দাঁড়াচ্ছি, সেটাও আবার ‘পারো’ নাটক দিয়ে। আমি একটু ভয়েও আছি বলতে পারেন । কারণ ইতিমধ্যে যারা নাটকটা দেখেছেন তারা অনেক প্রশংসা করেছেন , সেই জায়গা ধরে রাখার একটা চ্যালেঞ্জ যেমন আছে , আছে আরও নতুন কী সংযোজন করা যায় যাতে চরিত্রগুলো আরও প্রাণ পায়।সব কিছু মিলে আমি ভীষণ এক্সাইটেড। প্রথম দিকে কোথায় ভুল হয়ে যায় তা নিয়ে চিন্তা করতাম। এখন কীভাবে আরও ভালো করা যায় তার চেষ্টা থাকবে। পুরো নাটকে একাই সাতটা চরিত্র ‘ডিল’ করা খুব সহজ কাজ নয়। খুব দ্রুত ক্যারেক্টার শিফট হয় নাটকটিতে। আমাকেও বদলে যেতে হয়। অত্যন্ত কঠিন কাজ। স্ক্রিপ্টের বাইরে, রিহার্সেলের বাইরেও আমাকে অনেক কাজ করতে হয়েছে।

মঞ্চ নাটকেই সুষমা সরকার ক্যারিয়ারের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন।
মঞ্চ নাটকেই সুষমা সরকার ক্যারিয়ারের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন।

সকাল সন্ধ্যা: কেমন ব্যাপারটা?

সুষমা সরকার: প্রতিনিয়ত চরিত্রগুলোর সাথে বসবাস করতে হয়েছে। আমি যা করেছি দেখেছি, পাশাপাশি সমাজে বসবাস করা অন্য মানুষগুলোকে অনেক অবজার্ভ করেছি। হয়তো ‘গডফাদার’ মুভিটা দেখছি, আসলে গল্প দেখছি না। ক্যারেক্টারগুলো কীভাবে কথা বলছে, শরীরি ভাষা, ডায়ালগ থ্রোয়িং এগুলোই দেখছি। সারাক্ষণই এ কাজটিতে ডুবে থাকতে হয়েছে।

সকাল সন্ধ্যা: প্রায় পঁচিশ বছরের অভিনয় জীবন আপনার। ‘পারো’-র কাজটিকে কীভাবে দেখছেন?

সুষমা সরকার: হ্যাঁ, ২০০০ সাল থেকে অভিনয় শুরু করি। চব্বিশ বছর পেরিয়ে গেল প্রায়। মঞ্চ, টিভি, বড়পর্দাসহ অনেক মাধ্যমেই কাজ করা হয়েছে। মাসুম রেজার এ নাটকটিতে অভিনয়ই জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ বলতে হবে।

সকাল সন্ধ্যা: দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল বিগত শো-গুলোয়?

সুষমা সরকার: মঞ্চে কাজ করে যেটা হয়, দর্শকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। এটা অনেক বড় পাওয়া। অনেকেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলেন। অনেকেই বলেছেন, পাশে কে ছিল পুরো নাটক চলাকালীন দেখতেই পাননি। পরে দেখেছেন খুব পরিচিত একজন পাশে বসা ছিল। এরকম আরও অনেক সুন্দর সুন্দর প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।

সকাল সন্ধ্যা: মানুষকে অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করার আপনার মন্ত্রটা কী আসলে?

সুষমা সরকার: যখন যে চরিত্রটা করেছি, তাতেই ডুবে ছিলাম। এখানে গল্পের বা চরিত্রেরও একটা ভূমিকা থাকে। ‘পারো’-তে দর্শকের মুগ্ধ হওয়ার কারণও আছে। যে চরিত্রগুলো করেছি তা প্রত্যেক নারীর মধ্যেই বাস করে। ঘটনাগুলো প্রত্যেক নারীর জীবনেই ঘটেছে। বুলিং তো শুধু অনলাইনে হয় না, অফলাইনেও হয়। তবে, এ নাটকটি কিন্তু শুধু নারীদের নয়, পুরুষরাও এ নাটকটি দেখতে পারেন। মানুষের ভেতর যে দুইটি রূপ আছে, তার সাথে যে প্রতিনিয়ত লড়াই চলে আমাদের তা পারো-তে ধরা পড়বে।

সকাল সন্ধ্যা: তুহিন হোসেনের ‘ক্যাম্পাস’- নাটকে খুব গ্ল্যামারাস লুকে হাজির হয়েছেন…

সুষমা সরকার: কাজটির কথা সবাই বলে। অনেকেই খুব পছন্দ করেছে কাজটি। অনেকদিন পর এমন ভাইব পেলাম। অনেক আগে শিহাব শাহিনের ভালোবাসা চতুষ্কোণ, কাচের পুতুল নামে ধারাবাহিকে এমন রেসপন্স পেয়েছিলাম। ভালো লেগেছে কাজটি করে।

সকাল সন্ধ্যা: বড়পর্দায় নায়িকা হতে না পারার কোন আক্ষেপ কী আছে?

সুষমা সরকার: নায়িকা হতে পারিনি বলে দুঃখ নেই বলবো না। দুঃখ আছে। কেননা নায়িকা বলুন, কেন্দ্রীয় চরিত্র বলুন, সে চরিত্রটাইতো পুরো গল্পে বিরাজ করে। তাই সেখানে অভিনয়ের অনেক সুযোগ থাকে। ক্যারেক্টার আর্টিস্টরা অভিনয়ের সুযোগ কম পান। সে কারণে দুঃখ বোধ আছে। মাঝে মাঝে মনে হয়, ক্যারিয়ারের শুরুটায় একটু অন্যভাবে কাজ করা উচিত ছিল। কিছু ভুল করে ফেলেছি হয়তো।

সকাল সন্ধ্যা: মঞ্চের বাইরে কী নিয়ে আছেন..

সুষমা সরকার: এখন ঝিনাইদহতে আছি। পথিক শহীদুলের পরিচালনায় একটি অনুদানের চলচ্চিত্রের কাজ করছি। আমার বিপরীতে কাজ করছেন ফজলুর রহমান বাবু। অনেকদিন পর বাবু ভাইকে পেয়ে ভালো লাগছে। এছাড়াও ‘মিলন হবে কতদিনে’- নামে একটি ধারাবাহিকে কাজ করছি। কচি খন্দকারের পরিচালনায় নতুন একটি ধারাবাহিকেও অভিনয় করবো সামনে। ‘এষা মার্ডার’ নামে একটি চলচ্চিত্রের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত