Beta
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সেবা চালুর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ ড. ইউনূসের

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট সেবা চালুর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট সেবা চালুর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।

এর অংশ হিসাবে ইলন মাস্কের কোম্পানিটির একটি প্রতিনিধি দল এখন বাংলাদেশ সফর করছে এবং এরই মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানর যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করার জন্য চুক্তিও সই হয়েছে বলে বাসস জানিয়েছে।

৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা যাতে বাংলাদেশে চালু করা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেই নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের দিয়েছেন।  

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অংশীদারত্বের আওতায় মহাকাশে স্পেস বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

স্টারলিংক প্রতিনিধি দলের সফরের ফলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আগ্রহী ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে। কিছু ক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহারে সহায়তা দেবে, আবার কিছু ক্ষেত্রে স্টারলিংক গাজীপুরের হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট সেবা চালুর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপরই স্টারলিংকের সঙ্গে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর যৌথভাবে কাজ শুরুর খবর এল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, লোকেশন নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা চলমান রয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন ন, স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাধা থেকে মুক্ত থাকবে।

ফয়েজ বলেন, “এটি নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং অনেক দূরবর্তী এলাকায় এখনও লোডশেডিং সমস্যা রয়েছে, স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে। আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে যৌক্তিক একটি মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।”

প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়েজ বলেন, বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে ইলন মাস্ক এই দেশের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন, যারা এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী হবেন।

বাসস জানিয়েছে, ড. ইউনূস তার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দেন দিয়েছেন যেন তিনি স্টারলিংকের মূল মালিকানা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করেন, যাতে আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্পেসএক্স, টেসলা এবং এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে দীর্ঘ টেলিফোন আলোচনা করেন, যাতে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা যায়।

স্পেসএক্স সারাবিশ্বে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে। ফলে দুর্মম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যায়।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানে স্টারলিংক কাজ করছে।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত