ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় মোংলা বন্দরের নিজস্ব সতর্ক ব্যবস্থার মানদণ্ড ‘স্টেপ ওয়ান’ জারি করা হয়েছে। তবে এখনও বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। বহির্নোঙ্গরসহ ছয়টি জাহাজ নোঙ্গর করে আছে বন্দরটিতে।
শনিবার রাতে স্টেপ ওয়ান জারির কথা জানিয়েছেন মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভূঁইয়া।
স্টেপ ওয়ান জারি হলেও বন্দরের কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক। যে ছয়টি জাহাজ নোঙ্গর করে আছে তার মধ্যে দুটি বন্দরে, চারটি বহির্নোঙ্গরে। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দরের দুটি জাহাজকেও বহির্নোঙ্গরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রেমাল মোকাবেলায় এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।
বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা দুই লাখ ৬ হাজার ৬৫১ জন। স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে আড়াই হাজার।
সাতক্ষীরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও নিয়মিত আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রস্তুত রয়েছে ৮৮৬টি স্থাপনা। প্রস্তুত আছে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানিয়েছেন, খুলনায় প্রস্তুত রয়েছে ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লা ও পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক তৈরি আছেন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় খুলনার তিন লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে পারবে এসব কেন্দ্র।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানিয়েছেন, কেবল সরকারিভাবেই পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবে।