আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বছর কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। খেলেছেন বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। এতদিন প্রশ্নটা না উঠলেও কাউন্টি খেলতে গিয়ে এবার প্রশ্ন উঠলো সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে।
ভারত সফরের আগে এ বছরের সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে খেলেছেন সাকিব। দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। সেই ম্যাচেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে মাঠের এক আম্পায়ার রিপোর্ট করেন বলে জানা গেছে।
ম্যাচটিতে মাঠের আম্পায়ার ছিলেন ডেভিড মিলনেস ও স্টিভ ও’শাগনেসি। তবে দুজনের কে রিপোর্ট করেছেন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এটা ঘরোয়া ম্যাচ হওয়ায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরাসরি যোগাযোগও করা হয়নি বিসিবির সঙ্গে। নির্দিষ্ট একটা টুর্নামেন্টে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে প্রশ্ন উঠায়, পরবর্তীতে কেবল কাউন্টিতে খেলতে গেলেই পরীক্ষা দিতে হবে সাকিবকে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিশ্বব্যাপী চলা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলতে বাধা নেই সাকিবের।
এ নিয়ে বিসিবির এক কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন, ‘‘কাউন্টির সেই ম্যাচে মাঠের এক আম্পায়ারের মনে হয়েছে, সাকিবের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক। এরপর যদি সাকিব কাউন্টিতে খেলতে চায় তাহলে পরীক্ষা দিয়ে খেলতে হবে তাকে। এটা শুধু কাউন্টি ক্রিকেটের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে কোনো বাধা নেই সাকিবের।’’
কাউন্টির সেই ম্যাচের পর ভারতে টেস্ট খেলেছেন সাকিব আল হাসান। টেস্টে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কোনো। এ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়ার প্রশ্ন তুললে সেটা শুধু ইসিবি ও তার ক্লাব জানবে। আমাদের জানানোটা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সেটা বিসিবির নোটিশে আসারও কথা নয়। এটা টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে হলে বিসিবি জানতো।’’
ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, সাকিবকে অ্যাকশনের পরীক্ষা করাতে বলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার জন্য সাকিবের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে পারেন সাকিব।
কাউন্টির ম্যাচ আর ভারত সফরের টেস্টে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের তুলনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে দেখা গেছে, কাউন্টিতে একটি বল করার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে কনুই বেশি বেঁকেছিল সাকিবের।
নিয়ম অনুযায়ী কোনও বোলার ১৫ ডিগ্রির বেশি কনুই বাঁকাতে পারবেন না। তবে সাকিব সেই বল করার সময় আসলেই ১৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করেছিলেন কিনা নিশ্চিত নয় সেটা।