Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে পুঁজিবাজারে

ঢাকার একটি ব্রোকারেজ হাউসে পুঁজিবাজারের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ছবি : জীবন আমীর।
ঢাকার একটি ব্রোকারেজ হাউসে পুঁজিবাজারের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ছবি : জীবন আমীর।
[publishpress_authors_box]

টানা তিন কার্যদিবস কমার পর মূল্যসূচক কিছুটা পুনরুদ্ধার হলেও পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে। বিভিন্ন কোম্পানির প্রান্তিকের ঘোষণা আসা নিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন, তাই লেনদেন কমেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।  

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৭ দশমিক ২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন রবিবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৮৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ২৬৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। রবিবার এই বাজারে ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যসীমা তুলে নেওয়ার পর দুই দিন ভালোর ইঙ্গিত দিলেও ফের দরপতন শুরু হয় বাজারে। টানা তিন কার্যদিবস দুই বাজারেই মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। এই তিন দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ২০০ পয়েন্টের মতো। সিএসইতেও একই চিত্র দেখা যায়।

বেশিরভাগ শেয়ার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর গত সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার বড় দরপতনের পর দুই দিন (সোম ও মঙ্গলবার) বাজারে সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছিল। সবাই ভেবেছিলেন বাজার বোধ হয় এবার ঘুরে দাঁড়াবে।

কিন্তু গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার বাজারে বড় পতন হয়।

দেড় বছর পর গত ১৮ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে বহাল রাখা হয় অনেকটা বড় মূলধনি ৩৫টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস।

গত ২১ জানুয়ারি (গত সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার) দুই পুঁজিবাজারেই মূল্যসূচকের বড় পতন হয়, কমে যায় লেনদেনও। তবে পরের দুই দিন (সোম ও মঙ্গলবার) বাজারে চাঙাভাব দেখা যায়। লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকায় ওঠে।

২৩ জানুয়ারি থেকে আরও ২৩টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পরও সূচকের উত্থানে আশা সঞ্চার হয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে বুধবার থেকে টানা দিন দিনের পতনে ফের হতাশ হন তারা।

বাজারে এখন ১২টি ছাড়া সব কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে বিএসইসি।

সোমবারের বাজার পরিস্থিতি

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯৭ পয়েন্টে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার ডিএসইতে ৬৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৮৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

লেনদেন হয়েছে ৩৮৯টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭০ টির, কমেছে ১৭৬ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির দর।

অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে ১৭ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৪ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯ টির; কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দর।

লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। রবিবার লেনদেন অঙ্ক ছিল ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত