দৌড় শেষে ইমরুল কায়েস ঘুরে দেখলেন আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিয়েছেন। একদম বিশ্বাস হচ্ছিল না তার। অবশ্য ভিডিও রিপ্লে দেখার পর কেউই বিশ্বাস করবে না যে ইমরুলকে রান আউট দেওয়া যায়।
শর্ট মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে চলেছেন খুলনার এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। রাকিবুল দ্রুত বল তুলে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেওয়ার আগেই ইমরুল পপিং ক্রিজে ঢুকে গেছেন। কিন্তু স্ট্যাম্প ভাঙ্গার আগেই ইমরুলের ব্যাট ছুঁয়েছে পপিং ক্রিজ।
কিন্তু ঘটনা এত দ্রুত হয়েছে যে আম্পায়ারের পক্ষে তা খালি চোখে দেখা খুব কঠিন ছিল। এই ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ার ছাড়া গতি নেই। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখে রান আউট দেওয়ার সুবিধাটা জাতীয় লিগে নেই বলে ইমরুলের রান আউট স্বচ্ছ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৪৬ রানে ফিরলেও ইমরুলের দলের ক্ষতি হয়নি। সিলেটে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে শক্তিশালি অবস্থানে আছে তারা। দিন শেষে ৬ উইকেটে ৩৫৮ রান খুলনার। সেঞ্চুরি করেছেন দুজন। এনামুল হক বিজয় ১৬৯ বলে করেছেন ১২৫ রান আর অমিত মজুমদার করেছেন ২৩৪ বলে ১৪৫ রান।
এদিকে বগুড়ায় অপর ম্যাচে লড়ছে রংপুর ও সিলেট। সিলেটের তিন পেসারের তিনটি করে উইকেটে রংপুর প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৮ রানে অলআউট হয়। খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি ও রেজাউর রহমান রাজা তিনটি করে উইকেট নেন। সিলেট তাদের প্রথম ইনিংসে নেমে ২৪ রানে দিন শেষ করে।
এছাড়া কক্সবাজারে মাত্র ২৪ ওভার খেলা হয়েছে মাঠ ভেজা থাকায়। তাতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রাম ১ উইকেটে ১০৭ রান করেছে।