Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী সংকট : মালিকদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর দ্বিমত

বিপিএমসিএ আয়োজিত ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান শিক্ষার্থী সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বিপিএমসিএ আয়োজিত ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান শিক্ষার্থী সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো। আর এজন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অটোমেশন পদ্ধতিকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএমসিএ।

তবে তাদের এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। তার মতে, যেসব মেডিকেল কলেজের সুনাম নেই, তারাই শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।

শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে বিপিএমসিএ আয়োজিত ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান শিক্ষার্থী সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা উঠে আসে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের এই সংগঠনের সদস্যরা জানান, আগামী ৫ জুন এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় এখনও এক হাজারের বেশি আসন খালি আছে।

মালিকরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদ্ধতিগত ভুলের কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। অটোমেশনের কারণে গত দুই বছর ধরেই ২০ শতাংশের বেশি সিট খালি থাকছে। চলতি শিক্ষাবর্ষেও এখনও খালি এক হাজার ২০০ সিট।

অটোমেশনের কারণে মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হওয়ায় ভর্তিচ্ছুকরা যেমন পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারছে না, তেমনি কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

তবে মালিকদের এসব অভিযোগের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

তিনি বলেন, “যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ভালো, তাদের শিক্ষার্থীর অভাব নেই, আসন খালি নেই। বাজারে যাদের সুনাম নেই, তারা শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। মেডিকেল শিক্ষার মান ঠিক রাখতে হলে কঠোর ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তা শুরু করতে হবে।”

অটোমেশন নতুন কিছু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। অটোমেশন নতুন কিছু নয়, এটি আগেও ছিল। আমি নিজে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আবেদন করতে পারিনি, কারণ আমার রেজাল্ট কিছুটা কম ছিল।”

শুধু অটোমেশনের কারণে শিক্ষার্থী আসছে না, এটা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন রোকেয়া সুলতানা।

তিনি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে নিজেদের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে পরামর্শ দেন। এজন্য কলেজগুলোর মানোন্নয়নে উপর জোর দেন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বেসরকারিতে মানুষ কোয়ালিটি চিন্তা করে। কারণ তারা এখানে অর্থ ব্যয় করছে। কোয়ালিটি মেইনটেইন না হলে কাজ করার প্রয়োজন নেই। সেটা যে সেক্টরেই হোক না কেন। এই কোয়ালিটি আমি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক দুই ক্ষেত্রেই চাই।”

একটি মেডিকেল কলেজ করতে হলে আগে হাসপাতাল তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। সেখানে ভর্তি থাকা রোগীরা হলেন শিক্ষার্থীদের শেখার ল্যাবরেটরি। হাসপাতাল ঠিক মতো রান করলে পরে মেডিকেল কলেজের অনুমতি পাওয়া উচিৎ। যাদের পড়াব তারা মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি হবে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে।”

বিপিএমসিএর সেক্রেটারি এম এ মুবিন খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মালিক ও সাংবাদিকরা।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “হাসপাতালের ওপর রোগীর আস্থা বাড়াতে হবে এবং প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। প্রতিযোগিতার মধ্যে মান উন্নয়ন হবে। মানসম্পন্ন চিকিৎসক যাতে কাজ করতে পারেন সেটি দেখবেন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিকরা। মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করতে পারে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত