Beta
শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

কেন ছাত্রলীগের মিছিলই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে

চিররঞ্জন সরকার। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে আলোচনার ঝড় বইছে। ছাত্ররাজনীতি নষ্ট হয়ে গেছে, পচে গেছে, ছাত্ররাজনীতির কারণে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দখলদারিত্ব কায়েম হয়েছে; শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ দূষিত হয়ে গেছে—এমনি অসংখ্য অভিযোগ ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগগুলো অসত্য নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর দায় কী ছাত্রদের? ছাত্ররাজনীতির? না, এর দায় পুরোপুরিই রাজনীতিবিদদের। কারণ তারাই ছাত্ররাজনীতিকে এই নষ্টবৃত্তে ঠেলে দিয়েছে। আটকেও রেখেছে। যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার নেশা দেশের রাজনীতিকেই লাঠিয়ালতন্ত্রে পরিণত করেছে। পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতির লব-কুশরাও এখন ক্ষমতাসীন দলের লাঠিয়াল মাত্র। এখন প্রতিবাদটা কার বিরুদ্ধে হবে, লাঠিয়ালের বিরুদ্ধে, নাকি যারা লাঠিয়াল তৈরি করছেন, পুষছেন, তাদের বিরুদ্ধে?

আমাদের দেশে ছাত্ররাজনীতি যুগ যুগ ধরেই ছিল। তখনো কেউ কেউ ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আবার বেশিরভাগ অংশ লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। কিন্তু ছাত্ররাজনীতিকে কেউ কখনো দোষারোপ করেনি। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতি থাকা না-থাকা নিয়ে বিতর্কও হয়নি। কিন্তু এখন হচ্ছে। এর বাস্তব কারণও আছে।

এ প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বললে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ছাত্ররাজনীতি কিংবা ছাত্র আন্দোলন যেটাই বলি না কেন, এর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমারও সংশ্লিষ্টতা ছিল। ছাত্রদল, ছাত্রলীগের রাজনীতি কাছ থেকে দেখেছি। আমরা যেই সময়ে ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম, সেই সময়ে (১৯৮৫-১৯৯৫) বড় বড় ‘ক্যাডার’ ছাড়া কেউ গাড়ি বা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন না। ছাত্রনেতারা হলে থাকতেন, ক্যান্টিনে খেতেন। হল, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসসিতে আড্ডা দিতেন। বিকেলে পায়ে হেঁটে কিংবা রিকশায় সংগঠনের অফিসে যেতেন। কারো চেহারা কিংবা আচরণ দেখে বোঝা যেত না যে ইনি নেতা। নেতাদের হামবড়াই কোনো ভাব ছিল না। আমার দেখা বড় ছাত্রনেতাদের মধ্যে ১৯৮৯ সালে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, মুশতাক হোসেন ছিলেন ডাকসুর ভিপি-জিএস। কিন্তু তাদের কোনো দামি গাড়ি ছিল না। তারা হেঁটে কিংবা রিকশায় চলাচল করতেন। তবে ১৯৯০ সালে আমান-খোকনদের আমল থেকে ছাত্রদল নেতাদের কিছু পরিবর্তন আসে। ছাত্রদলের অনেক নেতাই (যারা ছিলেন একইসঙ্গে লিডার এবং ক্যাডার) মোটরসাইকেল, কার, এমনকি মাইক্রোবাসে যাতায়াত শুরু করেন। ছাত্রদলের আগের ব্যাচের নেতা দুদু-রিপনরা ক্যাম্পাসে পায়ে হেঁটে এবং রিকশাতেই ঘুরে বেড়াতেন।

ছাত্ররাজনীতির আদর্শিক ধারা পুরোপুরি বদলে যায় মূলত খালেদা জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর, ১৯৯১ সালের পর থেকে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় পুরো দৃশ্যপটেই ছিল ছাত্রদলের টাকা কামানো এবং এর ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে হানাহানি। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় সেই জায়গাটি নিয়েছে ছাত্রলীগ।

আমাদের সময়ে এমনটাও দেখেছি, বড় সংগঠনের নেতারা কর্মীদের টাকায় চা খেতেন। রিকশাভাড়া নিতেন। এর সংগত কারণও ছিল। তারা নেতা হওয়ার জন্য বাড়তি কোনো টাকা কোথাও থেকে পেতেন না। তখন ছাত্রনেতারা ‘চাঁদাবাজি’ করতেন না। উল্টো সংগঠনের কাজে এখানে-ওখানে যেতে হতো। এতে ব্যয় হতো। ব্যক্তিগত টাকায় সাংগঠনিক ব্যয় নির্বাহ করার কারণে তাদের সব সময় টানাটানির মধ্য দিয়ে যেতে হতো। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, যে যত বড় পদে যেত, সে তত গরিব হয়ে পড়ত। দুয়েকজন বড় ছাত্রনেতাকে চিনতাম, যারা বিভিন্ন বড়লোক বন্ধু বা সংগঠনের সাবেক নেতাদের কাছে রাতের বেলায় ধরনা দিতেন টাকার জন্য। কিন্তু কাজটা করতেন খুব গোপনে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতাও কাজ করত। তবে অনেক প্রাক্তনকে দেখেছি, যারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ছাত্রনেতাদের পকেটে টাকা গুঁজে দিতেন। সে দেওয়া ছিল একেবারেই নিঃস্বার্থ উপহার, ভালোবাসা, প্রীতি আর শ্রদ্ধার লেনদেন।

ছাত্ররাজনীতির আদর্শিক ধারা পুরোপুরি বদলে যায় মূলত খালেদা জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর, ১৯৯১ সালের পর থেকে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় পুরো দৃশ্যপটেই ছিল ছাত্রদলের টাকা কামানো এবং এর ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে হানাহানি। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় সেই জায়গাটি নিয়েছে ছাত্রলীগ। 

যখন আদর্শের রাজনীতির জায়গাটি ক্ষমতা ও অর্থের রাজনীতি দখল করে নেয় তখন সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। ছাত্ররাজনীতি থেকে এখন আদর্শ হারিয়ে গেছে। সবাই টাকা আয়ে ব্যস্ত। টাকার জন্যই তারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়ায়। সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থ ছাত্ররাজনীতিকে পুরোপুরিই গ্রাস করেছে। ষাটের দশকে দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্যই ছাত্ররা রাজনীতিতে আসতেন। আশি-নব্বইয়ের দশকেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু এখনকার ছাত্রনেতারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতেই রাজনীতিতে জড়ান।

২০০৯ সালের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আর এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেসব বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন তা সংগঠনটির অতীত গৌরব এবং অর্জনের ওপর কালিমা ফেলেছে। এ সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন; জড়িয়েছেন চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে। অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজেও লিপ্ত হয়েছেন তারা। বিরোধীদের হল ও ক্যাম্পাস থেকে বের করে তো দিচ্ছেনই এমনকি শিক্ষকদের ওপরও হামলা করতে ছাড়েননি এই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কোথাও কোনো বাধা নেই, প্রতিকার নেই। নেই সাংগঠনিক কোনো উদ্যোগ, প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা।

যে রাজনীতি গোটা ছাত্রসমাজের অধিকার ও দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে পরিচালিত হওয়ার কথা, সেই রাজনীতি রূপ নিয়েছে প্রতিপক্ষ ও ভিন্নমত দমনের উদ্দেশ্যে। যে ছাত্রসংগঠনটির প্রাণপুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে মুষ্টির চাল সংগ্রহ করতেন, লজিংয়ের ব্যবস্থা করতেন, সেই ছাত্রসংগঠনের বর্তমান নেতারা পরিণত হয়েছেন টাকা বানানোর মেশিনে। ছাত্ররাজনীতি আদর্শহীনতার চর্চায় পরিণত হয়েছে। হাতে গোনা দুচারজন ছাড়া কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে এখন আর কেউ ছাত্রসংগঠনে নাম লেখান না। কেউ কেউ ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন সিটের জন্য। আর বেশিরভাগ অংশ যুক্ত হন নগদ-নারায়ণের লোভে।

একদিকে যখন সরকারবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নিয়ন্ত্রণ আর দমনপীড়নে অন্য সব সংগঠনের মিছিল ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে, অন্যদিকে তখন ছাত্রলীগের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এর কারণ ক্ষমতা, প্রভাব, টাকা। সবাই ছাত্রলীগ করতে চায় কেন? ছাত্রলীগে এত কোন্দল কেন? ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন কেন? অল্পকিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই গাড়ি-বাড়ি ব্যাংক ব্যালান্স করছেন কীভাবে? বিলাসী জীবনযাপন করেন কীভাবে? এর একমাত্র কারণ ক্ষমতা ও টাকা। ক্ষমতা ও নগদ অর্থ ছাত্রলীগকে এবং একই সঙ্গে ছাত্ররাজনীতিকে গ্রাস করেছে।

বেশিরভাগের কাছেই ছাত্ররাজনীতি এখন স্রেফ মালপানি কামাবার একটা ব্যবস্থা। আর মালপানি এমনি এমনি আসে না, আনতে হয়। এর উৎস হচ্ছে চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজি। এগুলো করতে হলে ক্ষমতা এবং প্রভাব লাগে। এর জন্য চাই ক্ষমতাসীন দলে নাম লেখানো। ক্ষমতাসীন দলে নাম লেখালে যে কেউ চাঁদা দিতে বাধ্য। কোনো বিনিয়োগ ছাড়া উপার্জনের এমন সুন্দর ব্যবস্থা ছেলেমেয়েরা ছাড়বে কেন?

তাই একদিকে যখন সরকারবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নিয়ন্ত্রণ আর দমনপীড়নে অন্য সব সংগঠনের মিছিল ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে, অন্যদিকে তখন ছাত্রলীগের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এর কারণ ক্ষমতা, প্রভাব, টাকা। সবাই ছাত্রলীগ করতে চায় কেন? ছাত্রলীগে এত কোন্দল কেন? ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন কেন? অল্পকিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই গাড়ি-বাড়ি ব্যাংক ব্যালান্স করছেন কীভাবে? বিলাসী জীবনযাপন করেন কীভাবে? এর একমাত্র কারণ ক্ষমতা ও টাকা। ক্ষমতা ও নগদ অর্থ ছাত্রলীগকে এবং একই সঙ্গে ছাত্ররাজনীতিকে গ্রাস করেছে।

বাঘ নাকি একবার নরমাংসের স্বাদ পেলে নরখাদক হয়ে যায়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও টাকার স্বাদ পেয়ে এখন টাকাখেকো হয়ে গেছেন। তাদের অন্তরে এখন টাকা ছাড়া কিছু নেই। বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী কেবলই ঢাল, আসল মোহ টাকা। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে ছাত্র-অধিকারের কোনো ইস্যু নেই। নেই কোনো সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যু। এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগে নাম লেখান পদ-পদবীর আশায়। এরা এক ধরনের সিন্ডিকেট রাজনীতি করেন। সিন্ডিকেট রাজনীতি হলো ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে অর্থ, সম্পদ, বিত্ত, বৈভব বানানো।

নব্বইয়ের পর থেকে যে দল সরকারে গিয়েছে, তাদের ছাত্র সংগঠন ক্ষমতার মালিক হয়ে বসেছে। তারাই সিদ্ধান্ত নেয় কোন সংগঠন ক্যাম্পাসে থাকবে, আর কোন সংগঠন থাকবে না। এখন সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে কে থাকবে না থাকবে তা স্থির করে। অনেক হলের সিট বণ্টনের দায়িত্ব পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের হাতে থাকে। এই সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয় বা হল প্রশাসনই তাদেরকে দেয়। হলগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনই বাপ-মা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রনেতারা ডাকলেই পুলিশ আসে, অথচ আগে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারত একমাত্র উপাচার্য ডাকলে। আইন, রাজনীতি, বিধি-বিধান এখন খাতাপত্রে আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা যতক্ষণ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো শান্তি-স্থিতি কিছুই কোনোখানে আসবে না। আর আমাদের ‘গণতন্ত্রের সেবকেরা’ তা হতে দেবেন বলে মনে হয় না।

কিন্তু সবারই এই কথাটা মনে রাখা দরকার যে, সবকিছুরই শেষ আছে। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে প্রাণ হারানোর পর দীর্ঘ ২১ বছর পথে পথে ঘুরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তার সামনে বিএনপির ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ খোলা রয়েছে। তারা পড়ছে বলে তো মনে হয় না। দেশবাসী আশা করেছিল, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আওয়ামী লীগ চলবে। কিন্তু ব্যর্থ পরিহাস। তারাও ‘যে যায় লংকায় সেই হয় রাবণ’—এই প্রবাদ বাক্যের যথার্থতা প্রমাণ করে চলেছে। হয়তো ভাবছে—জনগণ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যেমন ইচ্ছে তেমন করে জনগণকে ব্যবহার করবে।

আমাদের আসল সমস্যা ছাত্ররাজনীতিতে নয়, জাতীয় রাজনীতিতে। দেশ যারা পরিচালনা করছেন, তারাই ছাত্ররাজনীতিসহ সব সমস্যার কারণ। তারা সিদ্ধান্ত নিলেই কেবল সম্ভব এই অধঃপতন থেকে ছাত্ররাজনীতিকে, দেশকে উদ্ধার করা।

প্রশ্ন হচ্ছে, তারা যদি না চায়, তাহলে কী হবে? হ্যাঁ, লড়াই এবং রুখে দাঁড়ানোই সে ক্ষেত্রে একমাত্র পথ। প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে আইয়ুব খান টিকতে পারেনি। এরশাদও পারেনি। এখানেও রাজনীতির প্রশ্ন। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ তো রাজনীতিরই আরেক নাম। এই রাজনীতি সবাইকে করতে হবে। বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর, ঢাকাসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরই।

আমরা দেশটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে চাই। স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চাই। যারা আমাদের স্বপ্নকে ভুল ঠিকানায় পৌঁছে দিতে চায়, তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা আমাদের স্বপ্নকে খুন হতে দিতে পারি না!

লেখক: লেখক ও কলামিস্ট।
ইমেইল: [email protected]

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত