Beta
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল, ফল কীভাবে তার সিদ্ধান্ত পরে

মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকশ এইচএসসি পরীক্ষার্থী পুলিশি বাধা ডিঙিয়ে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।
মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকশ এইচএসসি পরীক্ষার্থী পুলিশি বাধা ডিঙিয়ে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।
[publishpress_authors_box]

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ফল কীভাবে হবে তার বিষয়ে পরে জানানো হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে স্থগিত পরীক্ষা আর না নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ‘ম্যাপিং’ করে ফল প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিল পরীক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি, যেসব বিষয়ে পরীক্ষা এরই মধ্যে হয়েছে তার ভিত্তিতে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত সেসব বিষয়ের মূল্যায়ন (ম্যাপিং) করে করে ফল প্রকাশ করা হোক।

সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ঘেরাওয়ের পর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কয়েকশ এইচএসসি পরীক্ষার্থী পুলিশি বাধা ডিঙিয়ে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।

সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে ভবনে অবস্থিত, সেই ভবনের নিচে অসংখ্য শিক্ষার্থী জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা তাদের দাবি ‘মানতে হবে’ বলে স্লোগান দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, এইচএসএসি ও সমমানের পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। তবে পূর্ণ নম্বরে নয়, বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো হবে অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে।

এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বিষয়টির সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ। শিগগির অফিস আদেশও জারি করা হবে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

অর্ধেক প্রশ্নোত্তরের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আগে যদি একটি বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো, সেখানে এখন চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে। তবে পরীক্ষা পূর্ণ সময়েই থাকবে।”

সোমবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ‘অটোপাস’ বা ‘বিকল্প মূল্যায়ন’ দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে পরীক্ষার্থীদের একাংশ।

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। প্রথমে গত ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তারপর একসঙ্গে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু পরে জানানো হয়, ১১ আগস্ট পরীক্ষা হচ্ছে না।

সর্বশেষ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল শিক্ষা বোর্ড। সেটি অনুমোদন করে দেওয়া হয় নতুন রুটিনও।

তবে এখন শিক্ষার্থীরা দাবি তুলেছে, পরীক্ষা না নিয়ে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে স্থগিত বিষয়গুলোর মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করতে। এর প্রেক্ষিতেই সরকার বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত