Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‍বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‍বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
[publishpress_authors_box]

উচ্চশিক্ষা নিতে বিদেশে যেতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‍বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, বিদেশ পড়তে যাওয়ার জন্য বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ককে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গড়ে ২০ লাখ করে টাকা দিয়েছে। এসব টাকা নেওয়া হয়েছে বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের ফি জমা দেওয়ার নাম করে।

কিন্তু বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফি জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পরে টাকা ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করে, যার ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং আর্থিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিহাবুল ইসলাম শিহাব বলেন, “অনেক পাওনাদারকে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বাহার নিজের সই করা চেক দেয়, যা ব্যাংক পরে প্রত্যাখ্যান করে। এমন ভুক্তভোগীর সংখ্যা আনুমানিক ১ হাজার।

“তাদের প্রত্যেকের পাওনা টাকার পরিমাণ গড়ে ২০ লাখ টাকা। টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা ভুক্তভোগীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারের গুন্ডাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়।”

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিয়ে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

গত ২৭ আগস্ট বিএসবির চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার ও পাওনাদারদের প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় বলে জানান শিহাবুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “পাওনা টাকা ৩ কিস্তিতে (২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর) পরিশোধ করা হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম কিস্তির টাকা না দিয়ে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক গুন্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, যা গুলশান থানা পুলিশকে জানানো হয়।”

টাকা উদ্ধার ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পাশাপাশি প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা করা হয় বলে জানান শিহাবুল ইসলাম।

এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “অভিযোগ করার পর দেড় মাস অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা প্রশাসন বা মন্ত্রণালয় থেকে কোনও ফলাফল পাইনি।”

সংবাদ সম্মেলন থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলোর মধ্যে আছে প্রতারিত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অর্থ জরিমানাসহ ফেরত দিতে হবে, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাউন্সিলরদের দেশবাসীর সামনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাকি দুই দাবি হচ্ছে টিউশন ফি ও ভিসা প্রসেসিং-এর নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ বিদেশে পাচারের বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনতে হবে এবং আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত