আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন লুইস সুয়ারেস। উরুগুয়ের জার্সিতে আর দেখা যাবে না এই স্ট্রাইকারকে। তবে ক্লাব ফুটবলে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলবেন। মেজর লিগ সকারের এই ক্লাবে সুয়ারেসের সতীর্থ লিওনেল মেসি। দুজনের সম্পর্ক দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ। সুয়ারেসের বিদায়বেলায় মেসি কথা বলবেন না তা হয় নাকি!
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্যারাগুয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে উরুগুয়ে। ঘরের মাঠ মন্তেভিদিও’র গোলশূন্য ড্রয়ের এই ম্যাচটিই হয়ে থাকল আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুয়ারেসের শেষ ম্যাচ। অবসরের ঘোষণা তিনি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। যেকারণে দেশের কিংবদন্তি স্ট্রাইকারকে বিদায় জানানোর সব উপলক্ষ প্রস্তুত রেখেছিল উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
তাকে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন মেসি। সশরীরে আসতে পারেননি, তবে ভিডিও’র মাধ্যমে বন্ধুকে আবেগপ্রবণ বার্তা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় মেসির বক্তব্য।
সেখানে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড বলেছেন, “বিশেষ এই দিনে তোমার (সুয়ারেস) জন্য এই ভিডিও রেকর্ড করেছি। এটা তোমার, তোমার পরিবার, উরুগুয়ে ও সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের জন্য উল্লেখযোগ্য ও বিশেষ একটি দিন। তুমি জাতীয় দলকে ও দেশকে যা দিয়েছো, সে জন্যও এটি উল্লেখযোগ্য।”
ভিডিও বার্তার পরের অংশে মেসি বলেছেন, “আমি জানি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন। উরুগুয়ের জন্য খেলাটা তোমার কাছে কী অর্থ বহন করে, সেটা আমি জানি। আশা করি, তোমার জন্য যে আয়োজন, সেটি উপভোগ করবে। আমি যা বললাম, তুমি তার চেয়েও বেশি যোগ্য। এখানে যারা উপস্থিত আছে, তুমি তাদের জন্য বিশাল এক উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছো।”
১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনে কান্নাভেজা চোখে বিদায় নিয়েছেন সুয়ারেস। যাওয়ার আগে ৬৯ গোল করে বসেছেন উরুগুয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে।
জাতীয় দলে ১৪৩ ম্যাচ খেলা এই স্ট্রাইকার বিদায়বেলায় বলেছেন, “যেকোনও খেলোয়াড়, কোচ, পরিচালক- যে কারও চেয়ে উরুগুয়ে দল বড়। কাল থেকে আমি শুধুই একজন ভক্ত। যারা এরপর খেলতে আসবে, সবার জন্য শুভকামনা থাকবে। নিশ্চিতভাবে তারাও আমাদের মতো দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।”