Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

২ বছর বাদে সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে

Khartum
[publishpress_authors_box]

টানা দুই বছর যুদ্ধের পর সুদানের সেনাবাহিনী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ প্রতিপক্ষ আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে বলে সামরিক নেতারা জানিয়েছেন।

সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, উল্লসিত সৈন্যরা তাদের অস্ত্র উঁচিয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে ও প্রার্থনায় নতজানু হয়েছে।

আরএসএফের হাতে রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ হারানোর দুই বছর পর সেনাবাহিনী আবারও সেই নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য আরএসএফ এখনও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

খার্তুমের কেন্দ্রে থাকা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও মন্ত্রণালয় ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদুল্লাহ।

এসময় তিনি বলেন, “আমাদের বাহিনী শত্রুপক্ষের যোদ্ধা ও সরঞ্জাম সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে এবং প্রচুর পরিমাণে সরঞ্জাম ও অস্ত্র জব্দ করেছে। আমরা নিশ্চিত করছি, সম্পূর্ণ বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব।”

খার্তুমেই প্রায় দুই বছর আগে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। সেখানেই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় লড়াইগুলো হয়েছিল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আরএসএফ রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা ও সুদানের পশ্চিমাঞ্চল ধরে রেখেছে।

সুদানের সেনাবাহিনীর জন্য খার্তুম পুনরুদ্ধার করা একটি বড় বিজয় এবং এই সংঘাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে।

সেনাবাহিনী গত কয়েক সপ্তাহে সুদানের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশেও অগ্রগতি করেছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে প্রত্যক্ষদর্শীরা ড্রোন হামলা ও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের কাছে বিমান হামলার কথা জানিয়েছেন। সেনাবাহিনী প্রাসাদের দক্ষিণে আরএসএফ-এর একটি বহরে শক্তিশালী হামলা চালায়। ভিডিওতে এর প্রমাণ দেখা যায়। সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলির শব্দ ও বিস্ফোরণ শোনা যায়।

আরএসএফ প্রেসিডেন্ট প্রসাদ এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর, যুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সম্পূর্ণ এলাকা আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলো পুড়ে গেছে বা লুট হয়ে গেছে। আর ব্যাংকগুলো উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি বিশাল গমের সাইলো থেকে সাদা ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

দেখা গেছে, শহরের কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর স্নাইপাররা নীল নদের দিকে তাকিয়ে থাকা একটি পরিত্যক্ত বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের জানালা দিয়ে তাদের রাইফেল তাক করে রেখেছে। নদীর ওপারে একটি নৌকা কাত হয়ে পড়ে আছে। মাথার ওপর একটি নজরদারি ড্রোন গুঞ্জন করছে।

এর আগে শনিবার একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে আরএসএফ কমান্ডার মোহামেদ হামদান দাগালো প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও এর আশেপাশের এলাকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে আরও হামলার হুমকিও দেন।

প্রতিপক্ষ বাহিনী কৌশলগত এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিভিন্ন শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

জাতিসংঘের মতে, এই যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। আর এতে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী উভয়ই ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত