ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
‘মার্চ ফর গাজা’ নামের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন শনিবার সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকে। এদিন বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়। তার আগেই লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা।
কর্মসূচিতে যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে উদ্যোনের আশপাশ শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাই কোর্ট, মৎস্য ভবন ভিড় জমে যায়।
তাদের হাতে রয়েছে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড। আছে ফিলিস্তিনের পতাকা, বাংলাদেশের পতাকা।
ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেন, বাস, কাভার্ড ভ্যান, এমনকি ব্যক্তিগত যানবহন করে এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে অনেকে। বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির কারণে দুপুরের আগেই শাহবাগ মোড়সহ আশপাশের এলাকার সড়কগুলো দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফেইসবুকে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে একটি ইভেন্ট পেইজ খুলে এ কর্মসূচির ডাক দেয় প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য লোকজনদের উদ্দেশে পেইজটি থেকে সংগঠনটি পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংগঠনটি জানায়, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।
হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতির কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন, ইসলামী বক্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ইতোমধ্যে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আগে থেকেই তারা এই কর্মসূচির পক্ষে সোশাল মিডিয়ায় বার্তা প্রচার করেছেন।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে অনেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে এসেছেন। কেউ কয়েক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে এসেছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের ঢল নামায় ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় ছাড়াও সাইন্সল্যাব, নিউ মার্কেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, দৈনিক বাংলা, কাকরাইল, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট লেগেছে।