২০০৩ সালে কাছে গিয়েও প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। মুলতানে ৩ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে ১ উইকেটে জিতে যায় পাকিস্তান। সেই হারের দিনটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম এক বেদনার গল্প হয়ে আছে।
মুলতান বলতেই স্মৃতির পাতায় উঠে আসে ওই সময়ের অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের চোখ মুছতে থাকা অবস্থায় মাঠ ছাড়ার ছবি। সেই দুঃখ ২১ বছর পর ভুলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। রাওয়ালপিন্ডিতে নাজমুল হোসেন শান্তদের ১০ উইকেটের জয়ে অতীত ভুলিয়ে দেওয়া আনন্দ তার মন জুড়ে।
সকাল সন্ধ্যাকে সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, “খুবই ভালো লাগছে। এতদিন মনে থাকতো ওই টেস্টটা জিততে পারিনি। আজকের পর থেকে মুলতানকে ভুলেই যাব হয়তো, এখন থেকে রাওয়ালপিন্ডিই মনে থাকবে।”
মুলতানের ওই টেস্টে শেষ ইনিংসে ১৩৮ রান করেছিলেন ইনজামাম উল হক। ২৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারালেও পাকিস্তান অধিনায়কের ইনিংসে ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান। শেষ ইনিংসে ইনজামামের বিরুদ্ধে সুজন, মোহাম্মদ রফিকের বলে বেশ কয়েকবার এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার অশোকা ডি সিলভার দেওয়া সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে বিতর্ক ছিল বেশ।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও আম্পারদের কিছু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়। ডিআরএস চ্যালেঞ্জ করে তাতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। খালেদ মাহমুদ সুজনেরও এখন মনে হচ্ছে মুলতান টেস্টের সময় ডিআরএস থাকলে বাংলাদেশই জিততো, “একটা কথা এখন বারবার মনে হচ্ছে যে ওই সময় যদি ডিআরএস সিস্টেমটা থাকতো তাহলে আমরা ওই ম্যাচটা জিততাম। ডিআরএস যে কোনও দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আম্পায়াররাও মানুষ। তাদের ভুল হতেই পারে। ওই টেস্টে কতগুলো সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছিল, রশিদ লতিফের একটি নিশ্চিত ড্রপ ক্যাচে অলক আউট হয়েছিল। তবে যাই হোক, এখন ওসব ভুলে যেতে পারবো।”
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের টেস্ট অভিজ্ঞতার ফসল হিসেবেও এই জয়কে দেখছেন সুজন। মুশফিক, মুমিনুল, সাকিবদের এখনকার টেস্ট মেজাজ এমনকি সাদমান, লিটন, মিরাজদের মতো মধ্য ক্যারিয়ারে থাকা ক্রিকেটাররাও এখন টেস্টটা ভালো বুঝতে শিখেছেন বলে আনন্দিত সাবেক অধিনায়ক।
একই সঙ্গে মুশফিকের দারুণ ইনিংস। সাদমানের নতুন বল সামলে এতদিন পর সুযোগ কাজে লাগানোর ইনিংস এবং জাকির হাসান, সাদমান ও লিটন দাসের দুর্দান্ত ক্যাচগুলোরও প্রশংসা করেছেন খালেদ মাহমুদ।