বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ এবং অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারত্ব জোরদারে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
চিঠিতে সুনাক বলেন, “আপনি একটি ঐতিহাসিক পঞ্চম মেয়াদে যাত্রা শুরু করায় এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় উন্নয়ন লাভের প্রতিফলন ঘটায়- আমি আমাদের দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের প্রতি আমার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের অংশীদারত্ব দু’দেশের জনগণের মধ্যেকার বন্ধুত্বের শক্তিশালী বন্ধনের এক গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।
“আমি আশা করছি, অধিকার এবং স্বাধীনতার অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনে সমঝোতার পরিবেশে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “এই মূল্যবোধগুলো কমনওয়েলথ পরিবারের মূল ভিত্তি এবং এগুলো প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করে।”
সুনাক বলেন, “আমি অভিবাসনের বিষয়ে সহযোগিতাকে আমাদের দ্বিপাক্ষীয় এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখছি।
“আপনি যুক্তরাজ্যে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার জন্য সদয়ভাবে একটি টেকসই ও সুবিন্যস্ত পথকে সমর্থন করেছেন। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার বৃহত্তর এজেন্ডার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা চূড়ান্ত হওয়ার প্রত্যাশা করছি।”
“আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং বিকাশকে অব্যাহত রাখতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি” যোগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিঠিটি মার্কিন দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
“তিনি (বাইডেন) একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”
তথ্যসূত্র : বাসস