আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড টিকল মোটে ১৮ দিন। যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২৭৭ রান করে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল, কয়েক দিনের ব্যবধানে তারাই ভাঙল নিজেদের রেকর্ড। এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠেছিলেন ট্রাভিস হেড-হেনরিখ ক্লাসেনরা। হেডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করে আইপিএলে নতুন ইতিহাস লিখেছে হায়দরাবাদ।
১৫ এপ্রিল (সোমবার) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চার-ছক্কার বৃষ্টি দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই তালে খেলে গেছে হায়দরাবাদ। শুরুটা করেছিলেন হেড। ওপেনিং সঙ্গী অভিষেক শর্মা ছিলেন তখন দর্শকের ভূমিকায়। এই ব্যাটার ২২ বলে ৩৪ রান করে যখন বিদায় নেন, হায়দরাবাদের স্কোর তখন ১০৮।
তবে থামেনি হেডের তাণ্ডব। বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধুনো করে তুলে নেন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। মাত্র ৩৯ বলে শতক ছুঁয়ে আইপিএল ইতিহাসের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। ৪১ বলে ১০২ রানে যখন থামেন, তখন নামের পাশে ৯ চার ও ৮ ছক্কা।
হেড আউট হওয়ার পর শুরু ক্লাসেনের তাণ্ডব। এবারের আইপিএলে যেভাবে খেলতে চাইছেন, সেভাবেই পারছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৩১ বলে খেলে যান ৬৭ রানের ইনিংস। হায়দরাবাদের রান তখন ১৭ ওভারে ২৩১। আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা উঁকি দেয়। সেটি বাস্তবে রূপ দেন এইডেন মারক্রাম ও আব্দুল সামাদ।
মারক্রাম ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। এই ইনিংস খেলার পথে ২০তম ওভারের তৃতীয় বলে তিনি সিঙ্গেল নিতেই হায়দরাবাদ গড়ে আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। অন্যদিকে মাত্র ১০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সামাদ খেলেন হার না মানা ৩৭ রানের ইনিংস।
গত ২৭ মার্চ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করেছিল হায়দরাবাদ। সেটিই ছিল আইপিএলের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানে নিজেরাই নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লিখল হায়দরাবাদ।