শাহিন শাহ আফ্রিদি নাকি মোহাম্মদ আমির? বাবর আজম সুপার ওভারের জন্য বেছে নিলেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার আমিরকে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা তার অভিজ্ঞতার সামনে ‘দুধের শিশু’। অথচ পাকিস্তানকে ডোবালেন আমিরই।
সুপার ওভার নামের লটারিতে আমির দিলেন ৩টি ওয়াইড! এই ৩ ওয়াইডে দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা নিয়েছেন আরও ৪ রান। মানে অতিরিক্ত রানই এসেছে ৭টি। আর পাকিস্তান হেরেছে ৫ রানে।
আমিরের এই ৭টি অতিরিক্ত রান দেওয়া নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসলেও ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বাবর আজম বললেন,‘‘ অভিজ্ঞ বোলার আমির। কীভাবে বোলিং করতে হয় সে জানে, আমরা ওভাবেই ফিল্ডিং সাজিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা বেশ স্মার্ট। বল উইকেটকিপারের হাতে থাকতেও তারা দৌড়ে রান নিয়েছে। সুপার ওভারে এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল (এটাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে)।’’
বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মত ছোট দলের কাছে হারের অতীত আছে পাকিস্তানের। এবার ‘ডালাস বিপর্যয়’ হল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে। বাবর এর দায়টা দিচ্ছেন বোলারদেরই, ‘‘বোলিংয়ের দিক থেকে আমরা মানসম্পন্ন ছিলাম না। প্রথম ১০ ওভারে এটার ঘাটতি ছিল। এরপর আমরা ফিরে এলেও তার আগেই ওরা মোমেন্টাম পেয়েছে। তবে আমাদের বোলিংয়ের শক্তির দিক থেকে এই পুঁজি নিয়ে জেতা উচিত ছিল। এই পিচে আমাদের বোলিং বিচারে এটা জয়ের মত পুঁজি ছিল।’’
হারের জন্য সংবাদ সম্মেলনে নিজের হতাশা লুকাননি বাবর, ‘‘শুরুটা কঠিন হলেও আমরা পুষিয়ে নিয়েছিলাম। এটা কোনো অজুহাত নয় যে তারা ভালো খেলেছে। আমরা খারাপ খেলেছি। আমি হতাশ। তিন বিভাগেই আমরা ভালো খেলতে পারছি না।’’
সেটা না পারাতেই ওয়াকার ইউনিসের মত কিংবদন্তি বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের হারটা অবিশ্বাস্য, অবাস্তব।’’ সমালোচনা চলছে পাকিস্তান জুড়েও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি তোলা হয়েছে পিসিবির সবার পদত্যাগের।