আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে এটি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন বা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে সংগঠনটির সদস্যরা জড়িত বলেও দাবি সমিতির।
ঢাকায় সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে।
একই দিনে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ। এদিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রধান ফটকে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে অবিলম্বে আইনজীবী সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নিয়মিত সদস্য বলে জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন। তিনি বলেন, “আলিফের হত্যাকাণ্ড আইনজীবীসহ সারা দেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে।
“গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর ফ্যাসিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসীরা দেশি-বিদেশি দোসরদের নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের সদস্যরা সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।”
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ও ইসকন নিষিদ্ধ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। কর্মস্থলে আইনজীবীদের নিরাপত্তা নেই উল্লেখ করে আইনজীবী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিও করেন তিনি।
আইনজীবী নেতা মিলন বলেন, আইনজীবীরা যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তার পেশা পরিচালনা করতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আইনজীবী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি।
আইনজীবীরা হত্যার শিকার হলে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী। বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশে আইনজীবীরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে পারে না। তাহলে আইন আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাবে। অবিলম্বে আইনজীবী সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।”
ইসকনকে আন্তর্জাতিক ‘উগ্রবাদী সন্ত্রাসী’ সংগঠন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “উগ্রবাদী ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্বের নানা দেশে ইসকন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
