সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার মামলার প্রধান আসামি নাহিদ সুলতানা যুথীর আগাম জামিন আবেদন শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি সাহেদ নুরুদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেছেন।
এর ফলে এখন আবেদনটি প্রধান বিচারপতির দপ্তর হয়ে তৃতীয় কোনও বেঞ্চে যাবে।
নির্বাচনের পরে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। নির্বাচনে সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট যুথী। জামিন আবেদনে নাহিদ সুলতানা যুথী ছাড়াও মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমার (কবিতা) আবেদন ছিল।
জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আজ সকালে মাননীয় বিচারপতি সেলিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আবেদন জমা দিয়েছিলাম। এরপর আমারে সংবাদ দিলেন, আমি আসলাম। তখন বিচারপতি সেলিম সাহেব বললেন, আমাদের মধ্যে একজন বিব্রতবোধ করছি। পরে আদেশে দেখছি, জাস্টিস সাহেদ নুরুদ্দিন বিব্রতবোধ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।”
এখন এই মামলাটির কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন ফাইলটি প্রধান বিচারপতির কাছে চলে গেল। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি দেখে অন্য কোনও বেঞ্চে পাঠিয়ে দেবেন।”
আদালত বিব্রতবোধ করার সময় আদালতে উপস্থিত থাকা আইনজীবী মাহবুবুর রহমান খান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “একই মামলার আসামি নূরে আলম সোহাগের জামিন আবেদনটি নিয়ে আমি এই বেঞ্চে যাই। তখন আদালত আমার কাছে কোনও মামলা সেটা জানতে চান। তখন আমি বলি সমিতির নির্বাচনে মারামারির মামলা। তখন মাননীয় বিচারপতি বলেন, আরও কার যেন জামিন আবেদন ছিল? এরপর আদালত সবগুলো জামিন আবেদন ফেরত দেন।”
গত ৭ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ বাদী হয়ে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়। এ মামলায় সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ছয়জন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন।
মামলা হামলার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে ৯ মার্চ শনিবার মধ্য রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে এবং বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সভাপতিসহ চারটি পদে জয় লাভ করেন।