বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন্যা কবলিতদের দুর্দশা প্রশমনে সহায়তা করতে এসব এলাকা পরিদর্শন করা হবে।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার যমুনা কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টারা বন্যা-দুর্গত সব জেলা পরিদর্শন করবেন।
বৈঠকে দেশের বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা-দুর্গতদের জন্য সরকার কী করতে পারে এবং কীভাবে সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা যায়, বন্যার পেছনের কারণ কী এবং ভবিষ্যতে বন্যা মোকাবেলায় সরকার কী করতে পারে সেসব বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রিজওয়ানা বলেন, ত্রাণ কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ফেনী যাচ্ছেন এবং অধিকাংশ বন্যা কবলিত এলাকায় তারা ত্রাণ বিতরণ সমন্বয় করবেন।
ভারতের উজান এবং দেশের বন্যা কবলিত এলাকা, দুই জায়গাতেই মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেকথা উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের আকস্মিক বন্যায় আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ার সুযোগ খুঁজতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। বন্যার্তদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত উপদেষ্টারা আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
বাসসে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতা বিপ্লবে হতাহতদের পরিবারের সেবায় একটি ফাউন্ডেশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রিজওয়ানা বলেন, ফাউন্ডেশনের প্রধান হবেন প্রধান উপদেষ্টা এবং সদস্য হবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং বিপ্লবের স্মৃতি ধরে রাখা হবে এই ফাউন্ডেশনের কাজ। ফাউন্ডেশনটি হবে একটি আইনি সত্তা।
তাছাড়া জনগণের অর্থ দিয়ে গড়ে ওঠা যেকোনও কাঠামো বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণের বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন বলে জানান। বৈঠকে নীতিগতভাবে বলপূর্বক গুমের বিষয়ে একটি কমিশন গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই কমিশন এই সমস্ত ঘটনার তদন্ত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম । তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা বিপ্লবের সময় যেভাবে বাঁধন খুলে গিয়েছিল, এখন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সেভাবে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, “উজান থেকে আসা পানি বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। বাংলাদেশে আগাম বন্যা সতর্কবার্তা না পাঠিয়ে সেখানে একটি বাঁধ খুলে ভারত তার অমানবিক মনোভাব দেখিয়েছে।”