রীতিমতো রান উৎসব। শ্রীলঙ্কার ২০৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছে ২০৩। ধারাভাষ্য দিতে আসা লঙ্কান সাবেক ক্রিকেটার পারভেজ মাহরুফ বলছিলেন, ‘‘আগামী এক মাস কেমন রোমাঞ্চকর হতে চলেছে, এই স্কোর কার্ড তারই আভাস দিচ্ছে। উপভোগ্য সিরিজ হতে চলেছে এটা।’’
সেই সিরিজের নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারে আজই (বুধবার)। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস ও গাজী টিভি।
শ্রীলঙ্কা জিতলে এক ম্যাচ বাকি থাকতে বাংলাদেশ সিরিজ হারবে ২-০’তে। তখন ৯ মার্চ শেষ ম্যাচটা হয়ে পড়বে আনুষ্ঠানিকতা।
গত বছর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ডে সিরিজে সমতা ছিল ১-১। অপরাজিত থাকার ধারাটা কি থামবে সিলেটে?
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স-এর কোচ রাজিন সালেহর আস্থা আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ওপর, ‘‘প্রথম ম্যাচটা কিন্তু আমরা প্রায় জিতেই গিয়েছিলাম। ২০০ রানের বেশি তাড়া করতে নেমে ব্যাটাররা ঘাবড়ে যায়নি। শেষ ওভারে দরকার ছিল কেবল ১২ রান। জাকের আলী আউট না হলে ম্যাচটা আমরাই জিততাম। আশা করছি দল ঘুরে দাঁড়াবে দ্বিতীয় ম্যাচে।’’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘‘এই দলে ওপেনার পাঁচ জন। তাহলে মিডলঅর্ডারে খেলবে কে? যারা নতুন বলে খেলে তাদের নিশ্চয়ই পেছনে পাঠানো হবে। কিন্তু নতুন বলের খেলোয়াড়রা তো পুরোনো বলে খেলে অভ্যস্ত না।’’
একই কথা বলেছেন বিকেএসপির কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমও, ‘‘প্রথম ম্যাচ দেখে আমার মনে হয়েছে জাকের আলী না থাকলে ছয় নম্বরে খেলতে কে? নতুন নির্বাচক কমিটিকে ধন্যবাদ ওরা আলিসের জায়গায় জাকেরকে নিয়েছে। তবু সাত নম্বরে ঘাটতি রয়েই গেছে।’’
প্রথম ম্যাচের পর কাল (মঙ্গলবার) বিশ্রামে ছিল দুই দল। খেলোয়াড়রা যে যার মত কাটিয়েছেন হোটেলে। তবে মাঠে গিয়ে জিম করেছেন সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, এনামুল হক বিজয়, শেখ মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিবরা। শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজমেন্টের তিন জন দেখে এসেছেন দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট। প্রস্তুতি বলতে এটুকুই।
সিরিজ শুরুর আগে কথা হচ্ছিল দুই দলের অতীত তিক্ততা নিয়ে। সিরিজটা এমনিতে বলা হয় ‘নাগিন ডার্বি’। গত বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ‘টাইমড আউটের’ পর উত্তেজনা বেড়েছে আরও। শরীফুল ইসলাম প্রথম ম্যাচে আভিষ্কা ফার্নান্ডোকে ফিরিয়ে করেছিলেন ‘টাইমড অউট’ উদযাপন।
ম্যাথুজকে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতে দেখে দর্শকরা চিৎকার করছিলেন , ‘সাকিব, সাকিব’ বলে। নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ নেওয়ার পর ম্যাথুজ টাইমড আউটের ভঙ্গি করে চুপ করতে বলেন তাদের।
মাঠের এই ব্যাপারগুলো বাদ দিলে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি চলার সময় বন্ধুত্বটা এক পাশে সরিয়ে জয়ের জন্যই মরিয়া থাকবে দুই দল।