Beta
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

বন্যা-বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সিলেট অঞ্চলে ৭ জনের মৃত্যু

ss-flood-sylhet-20-6-24 (7)
[publishpress_authors_box]

সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুইদিনের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সিলেট জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে তিনজন।

এর মধ্যে বুধবার বিকালে সিলেটের জকিগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বন্যার পানিতে মারা যান একজন এবং রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলায় নৌকা ডুবে মারা যান আরেকজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকালে একজন, বুধবার রাতে একজন এবং বিকালে দক্ষিণ সুরমায় আরেকজন মারা গেছে।

মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতার উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্রামের পচন মিয়ার ছেলে ছাদি মিয়া (৮) ও জমির মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (১৭) বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়।

তিনি জানান, বন্যার পানিতে শ্যামেরকোনা গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পানিতে খেলতে নেমে সাঁতার না জানায় দুইজনই ডুবে যায়। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানিতে মৃত আব্দুল হালিম (৫৫) বারহাল ইউনিয়নের মুহিদপুর গ্রামের রনই মিয়ার ছেলে।

জকিগঞ্জ থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, বুধবার বিকালে আব্দুল হালিম ভেলা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পিতিবার সকালেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ মুহিদপুর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

বুধবার রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কাপনা নদীতে নৌকা ডুবে মারা যান সাখাওয়াত হোসেন (২৬) নামে এক যুবক।

 রাত ১২টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কাপনা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। মৃত মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন (২৬) ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা জানিয়েছেন বুধবার রাতে ফতেহপুরের বাংলাবাজার থেকে অন্যদের সঙ্গে নৌকায় বাড়ি ফিরছিলেন সাখাওয়াত। ফতেহপুরের লংপুর সড়ক এলাকায় পৌঁছালে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও সাখাওয়াত তলিয়ে যান। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ মৃত্যু

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি বগাইয়া হাওড় পাড়ের গ্রামের ক্লাব ঘরের সামনে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে জড়িয়ে জুয়েল মিয়া (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। জুয়েল গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর বিছনাকান্দির হাদারপার বাজার সংলগ্ন উপরঘাম গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাজমিন আক্তার (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। অন্য শিশুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গ্রামের আব্দুলাহ মিয়ার মেয়ে নাজমিন।

এর আগে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মিনতি রানী (৪০) নামের এক নারী মারা যান। তার বাসা ঝালোপাড়ার নৃসিংহ জিউর আখড়ার পাশে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মন্দিরের পানির পাম্পে সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মিনতি রানী গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হ হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলী ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবাংশু পাল জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মিনতি রানীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত