সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
জেলার নদীগুলোর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ছাড়া সব পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও পানি শনিবার বিকালে থেকে কমতে শুরু করেছে।
পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে গত ২৯ মে বন্যা দেখা দেয়। এরপর ৩১ মে সিলেটের সবকটি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাত দিন পর শুক্রবার বিকালে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, শর্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র শুক্রবার দুপুরে খুলে দেওয়া হয়। বিকাল থেকে রাতারগুল, বিছানাকান্দি, জাফলংসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রও খোলা।
তবে পর্যটকদের নৌকায় ঘোরা ও পানিতে নামার সময় লাইফ জ্যাকেট পরার কথা মনে করিয়ে দেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, সিলেটের নদ-নদীগুলো পানিতে পূরিপূর্ণ থাকায় বন্যার পানি ধীরগতিতে নামছে। নতুন করে কোথাও পানি বাড়েনি।
“গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
সিলেট জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১২টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নে বন্যায় আক্রান্ত রয়েছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৪৮৬ জন। এর মধ্যে ৫টি উপজেলায় ৪৪০ জন আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। নগর এলাকায় কোনও বন্যা আক্রান্ত নেই।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনোয়ার হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সবকটি উপজেলায়ই আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকজন বাড়ি ফিরেছেন। কেবল জকিগঞ্জে কিছু লোক আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হয়েছে। এখন বন্যা পরবর্তী পুর্নবাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।”
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর সকাল সন্ধ্যাকে জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৪ হাজার মানুষ গত দুই দিনে বাড়ি ফিরে গেছেন। শনিবার দুপুর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ নেই।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বন্যা পরবর্তী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।