উজানের ঢলে সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগর ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। নগর এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, সিলেটের ১৩ উপজেলার সাত উপজেলা আগেই প্লাবিত হয়েছিল। নতুন করে সিলেট সদর উপজেলা ও নগর এলাকার কিছু স্থানে সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির অবনতি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। পাশের একটি পাঁচতলা খালি বিল্ডিংয়ে একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনীর ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। নগরের মাছিমপুর, উপশহর, যতরপুর, সোবহানীঘাট, তোপখানা, কাজিরবাজার, তালতলা ও শেখঘাট এলাকার বাসিন্দারা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে নগরীতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার পরিবার। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিসিক। শুক্রবার রাত থেকেই সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বন্যার্তদের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুজাত আলী রফিক সকাল সন্ধ্যাকে জানান, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১ হাজার ৬২০ জন। সদর উপজেলায় ২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকাল ৩টায় যা ছিল বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলসিদে বিপৎসীমার ২০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং বিয়ানীবাজারের শেওলায় বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।