সাকিব আল হাসানের জায়গায় তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক এখন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিব চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন গত বিশ্বকাপ থেকে। তিন দেশে চিকিৎসা করিয়েও তেমন উন্নতি হচ্ছিল না।
তাই সাকিবের চেয়ারে বসানো হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। তিনিও ভুগছেন গলার সমস্যায়। এবারের বিপিএলে ফিফটি পাননি একটিও। ১২ ম্যাচে রান কেবল ১৭৫। গড় ১৪.৫৮, স্ট্রাইক রেট ১০০’র কম।
তাহলে কি গলার অস্বস্তির প্রভাব পড়েছে শান্তর ব্যাটে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আজকের (সোমবার) সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে নাজমুল জানালেন, ‘‘গলার কারণে খারাপ খেলছি এটা আমার মনে হয় না। অবশ্যই কিছু অস্বস্তি ছিল তবে এটা কোন কারণ না। গত টুর্নামেন্টটা খারাপ গেছে। আশা করছি সামনে ভালো কিছু হবে।’’
জাকের আলী হঠাৎ দলে এসেছেন স্পিনার আলিস আল ইসলাম ইনজুরিতে পড়ায়। স্পিনারের বদলে ব্যাটার কেন? আর বিপিএল দুর্দান্ত খেলা সাইফউদ্দিনকে দলে নেওয়া হল না কেন? এমন প্রশ্নে শান্ত সুর মেলালেন নতুন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সঙ্গে,‘‘রিশাদ, তাইজুল ভাইরা ভালো স্পিন করছেন। আমাদের মনে হয়েছে মিডলঅর্ডারে একজন দরকার। তাই জাকের আলীর কথা ভাবা হয়েছে। আর সাইফউদ্দিন বড় একটা ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছে মাত্র। এখনই তাকে নেয়াটা ঝুঁকির।’’
টেস্টে এতদিনেও তেমন উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের। তুলনায় অন্য দুটি ফরম্যাটে বাংলাদেশ ভালো। তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে দলকে কোথায় নিয়ে যেতে চান?
এমন প্রশ্নে নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন, ‘‘ আমার কাছে মনে হয় না টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি উন্নতি করেছি। আগে যে অবস্থায় ছিলাম, তার চেয়ে ভালো খেলা শুরু করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইব যে ঘরের মাঠে আমরা যে ম্যাচগুলো খেলব, বেশির ভাগ ম্যাচ যেন আমরা জিততে পারি। টেস্ট খেলার যে গুরুত্ব, সেটা যেন সবার মধ্যে আরও ভালোভাবে বিল্ডআপ হয়। আমরা যখন দেশের বাইর যাব, বাইরের দলগুলোর সঙ্গে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।”
ওয়ানডে নিয়ে নাজমুলের ভাবনা, ‘‘ওয়ানডেতে আমরা মাশাল্লাহ ভালো করতেছি। তবে এখনও আমরা বড় কোন টুর্নামেন্ট জিততে পারিনি। এই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব যে আমরা কীভাবে বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারি বা দেশের জন্য একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে দরজায়। এই ফরম্যাটেও ভালো করতে চান নাজমুল,‘‘ গত বছরটা আমাদের ভালো গেছে। আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করলে দেখা যাবে যে আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো কন্ডিশনে ভালো করছি। এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা তিন সংস্করণে যে খেলোয়াড়েরা খেলব, শুধু ১৫ জন নয়, জাতীয় দলের আশপাশে যে ৩০-৩৫ জন আছে, প্রত্যেকের কীভাবে যার যার জায়গা থেকে দলের জন্য উন্নতি করে আসতে পারি। সবাই নিজের দায়িত্বটা পালন করলে আমার জন্য কাজটা সহজ হবে।’’
