এক সময় দেশের ফুটবলে ভরা যৌবন ছিল। তখন খেলা হতো সারা দেশে, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ফুটবলাররা ঢাকার মাঠ মাতিয়ে হয়ে উঠতেন জাতীয় তারকা। এই পরম্পরায় চিড় ধরেছে ঝিমিয়ে পড়া জেলা ফুটবলের কারণে। এর মধ্যে আবার বিশেষ কিছু জায়গা বা অঞ্চল ছিল খুবই ফুটবল উর্বরা, তাদের ফুটবলার ছাড়া জাতীয় দলও কল্পনা করা যেতো না। ফুটবলের সেই আঁতুড়ঘরগুলোর ছন্নছাড়া রূপ ধরা পড়েছে সকাল সন্ধ্যার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বদিউজ্জামান মিলনের তদন্তে। প্রথম কিস্তি সিলেটের ফুটবল নিয়ে
ফুটবলার ওয়াহেদ আহমেদ ভীষণ ব্যস্ত রেঁস্তোরা ব্যবসা নিয়ে। ৭ বছর আগে লন্ডনে গিয়ে খুলেছেন নিজের রেঁস্তোরা। একই অবস্থা আরেক ফুটবলার তকলিস আহমেদেরও। তিনিও বার্মিংহামে রেঁস্তোরার ব্যবসা নিয়ে জেঁকে বসেছেন। বসুন্ধরা কিংস থেকে বাদ পড়া মতিন মিয়া ইদানিং ব্যস্ত সিলেটের স্থানীয় টুর্নামেন্টে খ্যাপ খেলতে।
সিলেটের ফুটবলাররা এখন আর বড় স্বপ্ন দেখেন না। দেশের শীর্ষসারির ক্লাব ও জাতীয় দলের স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়ে সিলেটিরা মজেছেন খ্যাপের ফুটবলে। এতেও ভবিষ্যত খুঁজে না পেলে এক সময় উঠে পড়েন যুক্তরাজ্যগামী বিমানে। মোটা দাগে এটাই সিলেটি ফুটবলারদের বর্তমান চালচিত্র। অথচ সিলেট থেকে এক সময় উঠে এসেছে নামী দামী সব ফুটবলাররা।
ঐতিহ্যের বাতিঘর ছিল সিলেট
১৯৩০ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি মৌসুমে সিলেটের অসংখ্য ফুটবলার খেলেছেন ঢাকা লিগে। এদের মধ্যে অনেকে জাতীয় দলের জার্সিতেও খেলেছেন।
ষাটের দশকে সিলেটে ছিল তারকার ছড়াছড়ি। দুর্দান্ত সব ফুটবলার উঠে এসেছেন ওই সময়। লোকমান উদ্দিন, আম্বিয়া চৌধুরী, অলক হালদার, আজব আলী, জিল্লু, সাইফুল, আমান চৌধুরী, প্রবীর রঞ্জন দাস ভানু, নাজির হোসেন তখন ফুটবল মাঠ কাঁপিয়েছেন। এক পর্যায়ে সিলেট থেকে ঢাকা লিগ, পাকিস্তান জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ছড়িয়ে পড়ে নাজিরের নাম।
এছাড়া বি রায় চৌধুরী, রণজিৎ দাস, কামরুজ্জামান, রামা লুসাই, দিলীপ দাস, রেহান আহমেদরা খেলতেন ঢাকার ফুটবলে। কায়সার হামিদ, মোহাম্মদ কার্জন, জুয়েল রানা ও আলফাজ আহমেদরা সদর্পে খেলেছেন ক্লাব ফুটবল ও জাতীয় দলে।
তাদের উত্তরাধিকার হয়ে জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলের জার্সি গায়ে তুলেছেন মনসুর আমিন, ওয়াহেদ আহমেদ, ইয়ামিন মুন্না, তকলিস আহমেদ, মাসুক মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মতিন মিয়া ও সাদ উদ্দিন। মৌলভীবাজার থেকে উঠে এসে ঢাকার ফুটবলে খেলছেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। যদিও সিলেট অঞ্চল থেকে জাতীয় ফুটবল দলে এখন খেলছেন একমাত্র সাদ উদ্দিন।
সিলেট থেকে সেভাবে ফুটবলার উঠে আসছে না দেখে দুঃখ ঝরল সাবেক স্ট্রাইকার আলফাজ আহমেদের কন্ঠে, “সিলেট থেকে ফুটবলার আসছে না দেখে খুব খারাপ লাগে। এখন সিলেটে লিগ অনিয়মিত। তারা এখন সংক্ষিপ্ত আকারে লিগ করতে চায়। লিগ শর্টকার্ট হলে ওই লিগের কোনও মূল্য থাকে না। অন্তত ৫-৬ মাসের লিগ চলা উচিত। তা না হলে ফুটবলারদের উন্নতির জায়গা থাকে না।”
জমজমাট ছিল ক্লাব ফুটবল
অতীতে সিলেটের লিগ ছিল খুব জমজমাট। স্থানীয় তারকাদের পাশাপাশি জাতীয় দলের অনেক ফুটবলাররা নিয়মিত খেলতেন। লিগের প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারি থাকতো পূর্ণ। দেশ স্বাধীনের আগে সিলেটে ছিল টাউন ক্লাব, স্পোর্টিং ইউনিয়ন, পুলিশ টিম, মোহামেডান, স্টুডেন্টস ক্লাব, পাকিস্তান স্পোর্টিং, ইসমাইল স্পোর্টিং ও সিলের ইঞ্জিনিয়ার স্পোর্টিং ক্লাব।
ত্রিশ চল্লিশের দশকে টাউন ক্লাব ও স্পোর্টিং ইউনিয়নের মধ্যে লড়াই হতো। ষাটের দশকে সিলেট লিগের সব আলো কেড়ে নেয় পুলিশ টিম ও ইসমাইল স্পোর্টিং। ইঞ্জিনিয়ার ক্লাব মাঝে মধ্যে চমক উপহার দিত। একবার স্কুটার গফুর, জাকরিয়া পিন্টু, কালা গফুর, আয়ুব দ্বার, ওমর, মুসা, প্রতাপ শঙ্কর হাজরার মতো ফুটবলার খেলেন ইঞ্জিনিয়ার ক্লাবের হয়ে।
সত্তরের দশকে কাজী সালাউদ্দিন, এনায়েত, আশীষ কুমার ভদ্রসহ আরও অনেক তারকা ফুটবলার আলো ছড়িয়েছেন সিলেট মাঠে। প্রথম বিভাগে সর্বোচ্চ ৬ বার চ্যাম্পিয়ন সিলেট আবাহনী।
ক্লাব ফুটবলের সেই লড়াইটা নেই বলে ভালো মানের ফুটবলার উঠে আসছে না সিলেট থেকে। এমনটাই বললেন ফুটবলার মাসুক মিয়া জনি , “সিলেটে প্রচুর ধনী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী আছেন। কিন্তু ভালো মানের দল গড়তে যে টাকার দরকার সেটা কেউ দিচ্ছে না। স্পনসর নেই ফুটবলে। তাই সিলেটের ক্লাবগুলোর মধ্যে জমজমটাই লড়াইটাও এখন আগের মতো হয় না। তাছাড়া আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক ফুটবলার ক্যারিয়ারের মাঝ পথে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।”
অনিয়মিত ফুটবল লিগ
সারা দেশের মতো জেলা ফুটবল স্থবির হয়ে আছে সিলেটেও। সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল হয়েছিল ২০১৯ সালে। প্রথম বিভাগ ফুটবল মাঠে গড়ায় ২০২২ সালে। বাফুফের নিবন্ধিত ১৬টি ফুটবল একাডেমি আছে সিলেটে। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না বলে আফসোসে পুড়ছে ফুটবলাররা।
সিলেট জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি রুবেল আহমেদ নান্নু নিয়মিত লিগের আয়োজন চান, “২০২২ সালে হয়েছে প্রথম বিভাগ। দ্বিতীয় বিভাগের কোনও খবর নেই। ডিএফএর সভাপতি মাহি ভাই (মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম) দেশছাড়া। কিভাবে ফুটবল চলবে এখানে তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। আমাদের একটাই চাওয়া লিগ যেন প্রতি বছর চলমান থাকে।”
অনিয়মিত লিগ হওয়ায় সিলেট জেলা ফুটবল দলের সাবেক মিডফিল্ডার খাইরুল আমিন চৌধুরীর কন্ঠেও হতাশা, “সিলেটে লিগগুলো নিয়মিত হয় না, যে কারণে হাতে গোনা ২-৩ টা ক্লাব ছাড়া কেউ চ্যাম্পিয়নের জন্য দল গড়ে না। এছাড়া একজন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকে অন্তত ৫-৬ টা ক্লাব। ফুটবলের পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে গেছে সিলেটে। অনেক সময় পাতানো ম্যাচের কারণেও লিগের সৌন্দর্য থাকে না “
তবে সিলেট ডিএফএর কর্মকর্তা ও প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ কমিটির সম্পাদক আক্কাস উদ্দিন আক্কাই বলেছেন মাঠ স্বল্পতার কথাও, “সিলেটের বেশিরভাগ মাঠ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এগুলো একেবারে খেলার অনুপযুক্ত। পুলিশ লাইন মাঠটা মোটামুটি মানের। কিন্তু সেখানে সাধারণ মানুষের খেলার অনুমতি নেই। এমসি কলেজ মাঠ দেখাশোনার কেউ নেই। মাদ্রাসার মাঠে বছর জুড়ে চলে মেলা, ওয়াজ মাহফিল বা কোনও না কোনও দলের সভা সমাবেশ। ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে ছোটখাটো দুয়েকটা খেলা চলে। মাঠের এতই অভাব যে সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ভেতরের ছোট মাঠে এখন খেলা চালাতে বাধ্য হচ্ছি। মাঠ নেই বলে সিলেট থেকে আগের মতো ফুটবলারও বের হয়ে আসছে না।”
পর্দার আড়ালের কারিগররা নেই
সিলেটের ফুটবলারদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা খুঁজে তারকাদের তুলে আনার নেপথ্যে কাজ করেছেন বেশ কজন। সিলেটের ফুটবল উন্নয়নে কাজ করে গেছেন অনেকে। এদের মধ্যে কমরু মিয়া ঝাড়ু, লুৎফর রহমান লালু, মাসুক আহমেদ, আক্কাস উদ্দিন আক্কাই, জামাল উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন। ফুটবল সংগঠক ও কোচদের অনেকে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। নতুন করে তৈরি হচ্ছে না ভালো মানের সংগঠক। যে কারণে উঠে আসছে না নতুন নতুন ফুটবলার।
মাসুক আহমেদ ছিলেন সিলেটের ফুটবলার তৈরির অন্যতম কারিগর। প্রয়াত এই কোচ এক সময় নিজেই ফুটবলার ছিলেন। তবে সেভাবে আলোচনায় আসেননি। কিন্তু অখ্যাত ফুটবলারই পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন বিখ্যাত কোচ। সিলেটের মৃতপ্রায় ফুটবলকে বলতে গেলে অক্সিজেন দিয়ে একসময় বাঁচিয়ে রেখেছিলেন খেলাপাগল এই মানুষ। দিনের শুরুটা যেভাবেই হোক বিকেলটা যেন বরাদ্দ থাকতো মাসুক আহমেদের। দুপুর থেকে মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতেন।
ভালো সংগঠকরা হারিয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ করে ওয়াহেদ লন্ডন থেকে টেলিফোনে বলেন, “মাসুক ভাই মারা যাওয়ার পর আর কোনও ফুটবলার উঠে আসেনি। সত্যি বলতে এখন আর কেউ উনার মতো অত যত্ন নিয়ে প্র্যাকটিস করান না। তকলিস, মুন্না, বিপলু, আমি- সবাই উনার হাত ধরেই উঠে এসেছি।”
খ্যাপে নজর ফুটবলারদের
সিলেটের অনেক উদীয়মান ফুটবলাররা বর্তমানে ঢাকার ক্লাবে খেলতে আগ্রহী হন না। বরং তারা স্থানীয় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খ্যাপ খেলে টাকা আয় করেন। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে সিলেট বিভাগে অন্তত তিন-চারশ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। ফ্লাড লাইটের আলোতেও অনেক জায়গায় ফুটবল টুর্নামেন্ট চলে। একেকটি ম্যাচের জন্য অনেকে ৩০-৩৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। বছরে কেউ কেউ ৫-৭ লাখ টাকাও আয় করেন শুধু খ্যাপের ফুটবল খেলে। খ্যাপ তাদের জীবিকা, তাই ঢাকার ফুটবল তাদের সেভাবে টানে না।
স্থানীয় শ্রীমঙ্গল ফুটবল একাডেমির কোচ একরাম রানা বলেন, “ওরা ঢাকায় খেলতে চায় না। ২-৩ মাস ঢাকায় থেকে খুব লাভ দেখে না। বরং এক মাসে সিলেটে খ্যাপ খেলে ঢাকার তুলনায় অনেক বেশি টাকা পায়।”
তাছাড়া ঢাকার ক্লাবগুলোর আর্থিক লেনদেনের অনিয়মও খ্যাপে আগ্রহী করে তুলছে সিলেটের ফুটবলারদের। অন্তত সেটাই মনে হয়েছে একরাম রানার, “ঢাকার ক্লাবগুলোর বেশিরভাগের আর্থিক লেনদেন ভালো না। ক্লাবগুলো কোড অব কনডাক্ট দিয়ে দেয়। যে টাকায় চুক্তি করে ওই পরিমাণ টাকা দিতে চায় না। এজন্য ফুটবলারররা ঢাকায় খেলতে নিরুৎসাহিত হয়।”মতিন মিয়াও ঢাকায় শীর্ষ ফুটবলে নাম লিখিয়ে, এমনকি জাতীয় দল পর্যন্ত পৌঁছেও ফিরে গেছেন আবার সিলেটে। প্রিমিয়ার লিগকে তুচ্ছ করে খ্যাপ খেলে বেড়াচ্ছেন ওখানে।
ফুটবল ছেড়ে যুক্তরাজ্যে
ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা সিলেটের ফুটবলাররা সাম্প্রতিক সময়ে থিতু হচ্ছেন যুক্তরাজ্যে। ওয়াহেদ আহমেদ, তকলিচ আহমেদ, ইয়ামিন মুন্না, নাঈম উদ্দিন, আবদুল হামিদ, তারেক মিয়া- তালিকাটা চাইলে আরও লম্বা করা যাবে।
২০১৮ সালে মৌসুমের মাঝ পথে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে খেলা অবস্থায় ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন তকলিস আহমেদ। ক্লাব কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মেলবন্ধন না ঘটায় শেষ পর্যন্ত ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি, “শেখ রাসেল ক্লাবের কাছে ৮ লাখ টাকা পেতাম। সেই টাকা কর্মকর্তারা আমাকে দেয়নি। এরপর মোহামেডানে খেলার সময় স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা হই। ঐ লিগে আবাহনী-বসুন্ধরার হয়ে দু-একটি গোল করেও জাতীয় দলে ডাক পায় আর আমাকে ডাকে না। মনটা খারাপ হয়ে যায়। তখন থেকে আসলে ফুটবল থেকে আমার সরে যাওয়া।”
কিন্তু সিলেটের অন্যরা কেন বিদেশে চলে যাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে তকলিস বলেন, “আমাদের এখানে চলে আসার পর অনেকে হাল ছেড়ে দিয়েছে। মুন্না, নাঈম, হামিদ, তারেক ওরাও চলে এসেছে। সিলেটের স্থানীয় ফুটবল লিগের অবস্থা খুব খারাপ। আগে ওয়াহেদসহ আমাদের দেখে অনেকে ফুটবলে আসতো। আমাদের অবস্থা দেখার পর সিলেট থেকে আর সেরকম ফুটবলার যায় না।”
গত ১০ বছরে শুধু যুক্তরাজ্য নয় কানাডাতেও পাড়ি জমিয়েছেন অনেক ফুটবলার। ওয়াহেদের দাবি, “ইংল্যান্ড ও কানাডায় অন্তত ৬০ জন সিলেটি ফুটবলার বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে। সেই দলে আমার ভাইও জাহেদ আহমেদও রয়েছে। সে সিলেটের প্রথম বিভাগ ও জেলা দলে খেলত। বর্তমানে কানাডায় উবার চালায় জাহেদ।”
বার্মিংহামে রেঁস্তোরার ব্যবসা করা তকলিসের মন পড়ে থাকে সিলেটের মাঠে। ফুটবলারদের দুর্দশায় মন পোড়ে তার, “আমরা যখন অনুশীলন করতাম তখন স্টেডিয়ামের পুরো মাঠের মধ্যে অনুশীলন করতাম। এখন মাঠের মধ্যে ক্রিকেট পিচ বসিয়েছে। অল্প একটু জায়গায় বালুর মধ্যে ফুটবলাররা ট্রেনিং করে। একটা লং পাসও দিতে পারে না। আমাদের ২টা মাঠেই ক্রিকেট দখল করেছে। সব কিছুরই প্রভাব পড়ে সিলেটের ফুটবলে। আসলে ফুটবলে সবচেয়ে খারাপ সময় আমরা পার করছি।”
শেষ কথা
জাতীয় দল এখন ভুগছে সাফল্যখরায়। সিলেটের ফুটবলাররাও দলে অনিয়মিত। এসব দেখে দুঃখ হয় জাতীয় দলের ফুটবল সাদ উদ্দিনের, “যে সিলেট থেকে দাপটের সঙ্গে আমরা ফুটবল খেলেছি জাতীয় দলে, সেই একাদশে এখন মাত্র দুয়েকজন। এটা দেখে খারাপ লাগে। আমি চাই আবারও যেন অন্তত পাঁচ-ছয়জন ফুটবলার সিলেটের থাকে। সিলেটের ফুটবলে ফিরে আসুক হারানো ঐতিহ্য।’