আর সব গ্রুপের সুপার এইটের দল নিশ্চিত হয়েছে। শুধু ডি গ্রুপের একটি দলের পরের রাউন্ডে যাওয়া বাকি। সেখানে লড়াইটা হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে। সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ডাচরা হারিয়ে দিলে আর নেপালের সঙ্গে হেরে গেলে কপাল পুড়বে বাংলাদেশের। তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালকে কোন ছাড় দিতে নারাজ বাংলাদেশ।
সেন্ট ভিনসেন্টে ডাচদের সঙ্গে দারুণ ম্যাচ খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। একদিন পর ওই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেপাল ম্যাচটি শ্বাসরূদ্ধকর হয়েছে। তাতে জয়ের প্রান্ত থেকে মাত্র ১ রানে হেরে কান্না ভেজা চোখে ফিরেছে নেপাল। তারা জিতে গেলে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ ও নেপালের জন্য নকআউট হয়ে যেত।
নেপাল হেরে যাওয়ায় স্বস্তিটা বাংলাদেশের। কিন্তু সোমবারের ম্যাচে স্বস্তিতে থাকা যাবে কি! মোটেও না। শক্তিশালি প্রোটিয়াদের চেয়ে শক্তিতে অনেকটা পিছিয়ে নেপাল। তবুও দুর্দান্ত লড়াই করেছে তারা। কোন সন্দেহ নেই বাংলাদেশকেও এমন লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
ম্যাচের আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে আসা তানজিম হাসান সাকিব নেপালের সামর্থ্য ভালোই জানেন। নেপাল অঘটন উপহার দিতে পারে তা অস্বীকার করছেন না। নেপালের চেয়ে শক্তিতে এগিয়ে থাকায় জয়ের চাপটাও বাংলাদেশের ওপর। তাই বলে ভয়ে নেই বাংলাদেশ। এশিয়ান প্রতিবেশীদের কোন ছাড় না দিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার কথা জানালেন তানজিম।
সেন্ট ভিনসেন্টে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ হয়েছে দুই উইকেটে। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ হবে নতুন অরেকটি উইকেটে। তাই পিচের আচরণ নিয়ে ধারনা নেই তানজিমের। তবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সুর তুলে বলেছেন, “আমরা ফ্রেশ উইকেটে খেলব, তাই আশা করছি ভালো রান করা সম্ভব। আমাদের রক্ষণাত্মক মনোভাব নেই, ইতিবাচক থাকছি। নেপাল ভালো খেলেছে, প্রশংসা করছি তাদের। তবে আমরা আগের মতো আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলবো।”
সবশেষ ম্যাচে নেপালের লড়াই দেখে তানজিম এই ফরম্যাটের আসল সত্যটা টানলেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছোট দল, বড় দল নেই। প্রত্যেককে সমানভাবে দেখার চেষ্টা করি। মাত্র ২০ ওভারের খেলা, কখন মোমেন্টাম বদলে যায় কেউ বলতে পারে না। আমরা প্রত্যেক দলকেই সমানভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক একইভাবে খেলার চেষ্টা করব।”
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দিয়ে হিমালয়ের দেশকে হারাতে চান তানজিমরা। নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আত্মবিশ্বাস নিতে চায় বাংলাদেশ। তানজিম বলছেন, “প্রত্যেক ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলি, এই ম্যাচও জেতার জন্য খেলব। আগের ম্যাচে যারা রান করেনি আশা করি এই ম্যাচে রান করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। আমরা চেষ্টা করব উইকেট টু উইকেট বল করার আর সুপার এইটের আত্মবিশ্বাস কুড়িয়ে নেওয়ার। এদিকেই মনোযোগ থাকবে।”
নতুন পিচ, নতুন কন্ডিশন। এমন অবস্থায় রান হলেই বাংলাদেশের জন্য ভালো। তাসকিন-তানজিমরা দারুণ করছেন বল হাতে। এবার ব্যাটাররা একটু সহায়তা করলে আরও শক্তিশালি দল হয়ে উঠবে বাংলাদেশ। সুপার এইটে চোখ রেখে সেই প্রস্তুতিটা হোক নেপালের সঙ্গে।