টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তান। বাবর আজম-শাহিন শাহ আফ্রিদি-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা হারাতে পারেন যে কোনও দলকে। পাকিস্তানের জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া কঠিন ভেবেই অন্য দেশে পাড়ি জমানো ক্রিকেটারের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়। তাদের অনেকে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলছেন। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
কানাডা : পাকিস্তানে জন্ম হলেও এবার কানাডার হয়ে বিশ্বকাপ খেলছেন কলিম সানা রেহমান, সাদ বিন জাফর ও জুনাইদ সিদ্দিকী। ২০০৮ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষিক্ত কলিম সানা একটা সময় পাড়ি জমান কানাডায়। ১৬ ম্যাচে এই পেসারের উইকেট ২৭টি।
৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার সাদ বিন জাফর কানাডার হয়ে খেলেছেন ১২ ওয়ানডে ও ৩৮টি টি-টোয়েন্টি। করাচিতে জন্ম নেওয়া ৩৯ বছর বয়সী জুনাইদ সিদ্দিকীর জন্ম করাচিতে। তিনি কানাডার হয়ে খেলেছেন ৮ ওয়ানডে ও ২০ টি-টোয়েন্টি।
ওমান : মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির হয়ে খেলছেন তিন পাকিস্তানি বিলাল খান, আকিব ইলিয়াস ও জিশান মাকসুদ। দীর্ঘদিন ওমানের অধিনায়ক ছিলেন জিশান। তার জায়গায় এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানেই জন্ম নেওয়া আকিব ইলিয়াস।
৪৮ টি-টোয়েন্টিতে আকিবের রান ১১৭৬। আর বিলাল খান তো নিয়েছেন ১০০’র বেশি আন্তর্জাতিক উইকেট।
যুক্তরাষ্ট্র : বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র দলটা গড়া অভিবাসী ক্রিকেটারদের দিয়ে। তাদের অন্যতম পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া আলী খান ও শায়ান জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন পেসার আলী খান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলও খেলেছেন তিনি। করচাতি জন্মানো উইকেটরক্ষক শায়ান জাহাঙ্গীরের টি-টোয়েন্টি অভিষেক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে।
উগান্ডা : পাকিস্তানের ক্রিকেটার রয়েছেন উগান্ডাতেও। ১৬ বছর বয়সে উগান্ডা পাড়ি দেওয়া রিয়াজত আলী শাহ এবার খেলছেন বিশ্বকাপও। ৫৭ ম্যাচে তার রান ১২১২।