বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রথম দিন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি কেউ। আজ (বৃহস্পতিবার) অবশ্য সভাপতির ফরম কিনেছেন দুজন। একজন আগেই সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া তাবিথ আউয়াল। আরেকজন ‘অচেনা’ মিজানুর রহমান।
দুজনের কেউ সরাসরি ফরম কেনেননি। বাফুফে ভবনে তাবিথের পক্ষে ফরম সংগ্রহ করেন নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। মিজানুর রহমানও ফরম সংগ্রহ করেছেন লোক মারফত।
মিজানুর রহমান ফুটবল অঙ্গনে একপ্রকার ‘অচেনা’। দিনাজপুরে তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ করেন তিনি। ৬৭ বছর বয়সী মিজানুরের দাবি তিনি ফুটবলের সঙ্গে রয়েছেন ৫০ বছর ধরে। কাজী সালাউদ্দিনের সময়ে ফুটবলের অধঃপতনের জন্যই এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন করার।
মিজানুর রহমানের নির্বাচন করা নিয়ে দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবশেষ নির্বাচনে জয়ী সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার সকাল সন্ধ্যাকে জানালেন, ‘‘তিনি ১৩-১৪ বছর আগে আমাদের জেলা ক্রীড়া সংস্থার জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন। এরপর থেকে টানা তিনবার আমার বিপক্ষে সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচন করেছেন, প্রতিবারই হেরেছেন বিপুল ভোটে। তিনি বাফুফে সভাপতি পদের ফরম সংগ্রহ করেছেন, এটা জেনে অবাকই হয়েছি কিছুটা।’’
বাফুফে নির্বাচনে অবশ্য এরকম অপরিচিতদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ আছে। কারণ কাউন্সিলর না হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায়। এজন্য মনোনয়ন পত্রে কাউন্সিলরদের একজনকে প্রস্তাবক ও আরেকজনকে সমর্থক হতে হয়।
এই নিয়ম কাজে লাগিয়ে ২০১৬ সালে টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের নুরুল ইসলাম নুরু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে চমক দিয়েছিলেন। তেমনি এবার চমকে দিলেন মিজানুর রহমান।
বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। তবে ঘোষণা দিয়েও তিনি চলে গেছেন আড়ালে। বৃহস্পতিবার দুজন সভাপতি পদের ফরম সংগ্রহ করলেও তার কোন প্রতিনিধি আসেননি বাফুফে ভবনে।