দক্ষিণ আফ্রিকা নাস্তানাবুদই করে ছেড়েছে বাংলাদেশকে। দুই টেস্টই জিতেছে দাপটে। ব্যর্থতার এই সিরিজেও কিছুটা সমীহ আদায় করেছেন তাইজুল ইসলাম। দুই টেস্টে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ‘ফাইফার’ দুটি।
চট্টগ্রামে তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শান্ত নেতৃত্ব ছাড়লে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কিনা। জবাবে জানিয়েছিলেন, ‘‘ ১০ বছর ধরে খেলছি। প্রস্তাব এলে পুরো প্রস্তুত। ‘’
অধিনায়কত্ব পরের কথা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গাই হয়নি তাইজুলের। তিনি অবশ্য এতদিনের ক্যারিয়ারে যেখানে টেস্ট খেলেছেন ৪৯টি, সেখানে ওয়ানডে কেবল ২০টি। কম খেললেও ওয়ানডেতে তার ইকোনমি সমীহ জাগানিয়া ৪.৬০। তারপরও কেবল টেস্ট বোলার হিসেবেই বিবেচনা করা হয় তাইজুলকে।
এজন্য কিনা, ওয়ানডে দল ঘোষণার পরই ফেইসবুকে রহস্যময় পোস্ট দিয়েছেন তাইজুল। প্রথম দিয়েছেন দুটি ইমোজি মুচকি হাসির (সেন্টি)। এরপর শেষ তিনটি হাততালি দেওয়ার ইমোজি।
পোস্টের ব্যাখ্যায় কিছু উল্লেখ করেননি তাইজুল। তবে অনেকের ধারণা ওয়ানডেতে সুযোগ না পাওয়ায় এমন পোস্ট তার। একজন কমেন্টে লিখেছেনও, ‘‘বুকে ব্যথা খুব ভাই।’’
জ্বরের জন্য লিটন দাস নেই ওয়ানডে সিরিজের দলে। তার জায়গায় হয়তো সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এনামুল হক বিজয়। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলা চার ওয়ানডেতে তার স্কোরগুলো ৪৩, ২, ৩৭ ও ১২।
দল ঘোষণার পর নিজেকে না দেখে ফেইসবুকে এনামুল হক লিখেছেন, ‘‘আমি জানি না, আল্লাহ জানেন। কিন্তু যত দিন সম্ভব, আমি চেষ্টা করে যাব। আমার স্বপ্নগুলোকে পূরণ করব।’’