Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

এটা গর্বের ব্যাপার : বললেন তাইজুল

taijul33333333
[publishpress_authors_box]

জ্যামাইকায় আগুন ঝড়াচ্ছিলেন পেসাররা। বাংলাদেশের নাহিদ রানা ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে লন্ডভন্ড করে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। জেইডন সিলস তো করেন হাড়কিপ্টে বোলিংয়ের ইতিহাস। প্রথম ইনিংসে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৫ রানে নেন ৪ উইকেট।

সেই উইকেটেই দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিন বিষে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নীল করলেন তাইজুল ইসলাম। এমন কিছু যে হতে পারে সেই কথা ধারাভাষ্যে বলছিলেন ইয়ান বিশপ। তাইজুল ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়ে প্রমাণ করলেন সেটাই। জিতলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও।

এভাবে পিছিয়ে পড়েও কঠিন কন্ডিশনে বাংলাদেশের জয়ে গর্ব নিয়েই তাইজুল বললেন, ‘‘কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন ছিল। বাইরের কন্ডিশনে এসে ম্যাচ জিততে পারাটাও দারুণ ব্যাপার। আমাদের জন্য এটা গর্বের ব্যাপার। অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশ দলের জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া। কারণ, এই দলে বেশ কিছু তরুণ ছেলে ছিল। কিছু লোক ছিল যারা ৮-১০ বছর ধরে খেলছে। তবে দলের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। সবার মধ্যে ওই ব্যাপারটা ছিল যে, ম্যাচ জিতব। সবাই যে চেষ্টা করেছে, এটা অসাধারণ ও অতুলনীয়।’’

বাংলাদেশের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়ে প্রায় সময়। তবে বোলাররা ধারাবাহিক পারফর্ম করে চলেছেন। এটাই তৃপ্তির জায়গা তাইজুলের। তিনি মনে করেন বিশ্বের যে কোন ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করার রসদ আছে বাংলাদেশের, ‘‘আমাদের যে পেস আক্রমণ ও স্পিন আক্রমণ এখন আছে, আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই খেলে আসছি এবং সবারই ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা অবশ্যই বিশ্বের যে কোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব।’’

নিজের দায়িত্ব পালন করতে পেরেও খুশি তাইজুল, ‘‘নিজের বোলিং নিয়ে আমি সত্যি খুশি। চতুর্থ ইনিংসে আমাকে বল দেওয়া হয়েছিল একটা বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে। চতুর্থ দিনের পিচ থেকে সুবিধা আদায় করে আমি সেই দায়িত্ব পূরণ করতে পেরেছি।”

বোলিংয়ের পাশাপাশি নিজের ব্যাটিং নিয়েও খুশি হওয়ার কারণ আছে তাইজুলের। কেননা প্রথম ইনিংসে তিনি ক্রিজে ছিলেন ১৩০ মিনিট আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ মিনিট। তার এই নিবেদনে উজ্জীবিত হতেই পারেন তরুণরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত