তিনি দলে নেই তবে বাংলাদেশের প্রতিটা ম্যাচ গুরুত্ব দিয়ে দেখেন তামিম ইকবাল। দেখেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটাও। ইএসপিএনক্রিকইনফোতে পুরো সিরিজের বিশ্লেষণও করেছেন তামিম।
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করাটা টেস্টে বাংলাদেশের সেরা অর্জন বলেছেন তামিম, ‘‘‘টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন এটা। দল যেভাবে খেলেছে, সত্যিই অসাধারণ ছিল। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৮০ (৬ উইকেটে ৪৪৮ রানের ইনিংস ঘোষণা) করল মনে হয়। তারপর বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়াল, বোলিং করল, দারুণ। বাংলাদেশ ভালো করেছে দুই বিভাগেই।’’
বাংলাদেশের সাফল্যে বিদিশে কোচিং স্টাফের পাশাপাশি তামিম কৃতিত্ব দিয়েছেন স্থানীয় কোচদেরও। কারণ পাকিস্তান সফরের আগে ক্রিকেটাররা সিলেট ও চট্টগ্রামে দীর্ঘ আড়াই মাসের টাইগার্স ক্যাম্প করেছেন স্থানীয় কোচদের অধীনে।
তাই তামিম কৃতিত্বটা দিচ্ছেন তাদেরও, ‘‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটাররা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত ছিল, তখন টেস্ট দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার টাইগার্সের অধীনে অনুশীলন করেছে। সেখানে মুশফিক, মুমিনুল, মেহেদীরা ছিল। স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে এক মাস-দেড় মাসের এই ক্যাম্প হয়েছে। অনেক কৃতিত্ব আছে তাদেরও। এটার অনেক বড় ভূমিকা ছিল।’’
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ১০ উইকেটই নেন বাংলাদেশের পেসাররা। সাবেক দুই ফাস্ট বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসনকেও এর কৃতিত্ব দিলেন তামিম, ‘‘ রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে আগে অনেক রান হয়েছে। তবে পাকিস্তান পেসারদের তুলনায় বাংলাদেশের পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়েছে। এটা নিয়ে গর্ব করা উচিত। যারা আগে কোচ ছিলেন তাদের কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসন কঠোর পরিশ্রম করেছে তাদের জন্য।’’
তামিম আরও যোগ করেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বলে আসছি, পেসাররা ভালো করছে। প্রথম টেস্টের পর আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না, নাহিদ রানা খেলবে কি খেলবে না। শরিফুল চোট না পেলে হয়তো দ্বিতীয় টেস্টে নাহিদ রানাকে দেখতে পেতাম না। ওর দারুণ গতি পাকিস্তানের সেরা ব্যাটারদের বিপদে ফেলেছে। হাসান নিজের সীমাবদ্ধতা জেনে অন্য কিছু চেষ্টা করেনি। শুধু লাইন টু লাইন বোলিং করে গেছে, এরই ফল পেয়েছে ও।’’