হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল হঠাৎ।পরিস্থিতি এতটাই নাজুক ছিল যে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনার অবস্থা ছিল না। চলে গিয়েছিলেন লাইফ সাপোর্টে। অ্যানজিওগ্রামে ব্লক পাওয়ায় রিংও পরানো হয়েছে তামিম ইকবালের। স্বস্তির খবর হচ্ছে, জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন তামিম ইকবাল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলছেন তিনি। তবে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসা বিষয়ক পরিচালক রাজিব হোসেন জানিয়েছেন, এখনও পুরোপুরি জটিলতা কাটেনি।
আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। তার খোঁজ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন তামিমের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, বিসিবি তামিমের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ও প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তামিমের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে সাংবাদিকদের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসা বিষয়ক পরিচালক রাজিব হোসেন বলেছেন, ‘‘যত ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, সবকিছু করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। একটা অ্যানজিওগ্রাম, অ্যানজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্ট করা হয়েছে। এটা খুব স্মুথলি এবং এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। ওনার এই ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন।’’
কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে তাঁর ব্লক সরানো হয়। তবে এখনো পুরোপুরি জটিলতা কাটেনি বলে জানিয়েছেন রাজিব হোসেন, ‘‘একটু ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিল। স্টেন্ট বসানোর পর তিনি অবজারভেশনে আছেন। ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, একটু সময় লাগবে। আমরা আশাবাদী তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবেন।’’
বিসিবি পরিচালক মাহবুবুল আনাম বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকটা স্টেপে আমার কাছে মনে হয়েছে যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। এই জিনিসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে প্রতিটা স্টেপে নেয়া হয়েছে।’’
তামিমের ফেইসবুক পেজ থেকেও এডমিনের বরাতে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে বিস্তারিত। পোস্টে বলা হয়, ‘‘সকালে টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় তিনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি বিকেএসপিতে ফিরে আসেন।’’