বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কোথাও ছিলেন না তানজিদ হাসান তামিম। এ মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথমবার কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে সুযোগ মেলে তার। সেই তানজিদ এখন বিশ্বকাপ দলের সদস্য। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স এখানে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে তানজিদ দেখেন ভাগ্যের ছোঁয়া। যার নিজের খেলা নিয়ে আছে স্পষ্ট ধারণা। কখনও বোলার দেখে নেন, তিনি ব্যাট করেন বল বুঝে।
বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে। কুড়ি ওভারের আসরে নামার আগে প্রতিযোগিতাটির অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। প্রথম ম্যাচে লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ। হেরে গেছে আমেরিকারদের কাছে। এই ম্যাচের একাদশে অবশ্য ছিলেন না তানজিদ।
যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যাওয়ার আগে বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়ে গেছেন বাঁহাতি ওপেনার। বিসিবি থেকে প্রকাশিত ভিডিও সাক্ষাৎকারে তানজিদ বলেছেন, “বিশ্বকাপ খেলাটা ভাগ্যের ব্যাপার। সেদিক থেকে আমি অবশ্যই ভাগ্যবান। চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দলকে সাহায্য করার।”
প্রথমবার বিশ্বমঞ্চে খেলার অপেক্ষায় তানজিদ। যেখানে সামলাতে হবে বিশ্বের নামী সব বোলারকে। যদিও আলাদা কোনও পরিকল্পনা নেই তার। কারণ নিজের প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা আছে তার, “আমার ইচ্ছাশক্তি সবসময় ইতিবাচক। আমি বোলার দেখে নয়, বল দেখে খেলি। বলের মেরিট বুঝে খেলার চেষ্টা করি। (বিশ্বকাপে) চেষ্টা থাকবে একইভাবে খেলে যাওয়ার।”
বিশ্বকাপে কোনও লক্ষ্য আছে কিনা, এমন প্রশ্নে এই ওপেনারের বক্তব্য, “আমি কখনও লক্ষ্য স্থির করি না। ম্যাচ ধরে ধরে খেলি এবং বর্তমান সময়ে থাকার চেষ্টা করি। এবারও একই চেষ্টা থাকবে যাতে দলকে ভালো কিছু দিতে পারি।”
সিনিয়র পর্যায়ে প্রথমবার বিশ্বকাপে নামতে যাচ্ছেন তানজিদ। তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে তার আছে বিশ্ব জয়ের অভিজ্ঞতা। ২০২০ সালে বিশ্বকাপ জয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের গর্বিত সদস্য তিনি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের ধাপ পেরিয়ে এখন তিনি জাতীয় দলে।
এই ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্পও শুনিয়েছেন তানজিদ, “সব বাবা-মা-ই চায় ছেলে ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমার বাবা-মা-ও সেটাই চেয়েছিল। গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে এসেছিল পড়াশোনা করানোর জন্য। আম্মু আমাকে সবসময়ই বলতো, যদি আমি পরীক্ষায় ভালো করতে পারি, তাহলে আমাকে একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেবে অথবা নতুন ব্যাট কিংবা বল কিনে দেবে। ক্রিকেট খেলার প্রতি ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক ছিল। ছোটবেলার ওই খেলাটাই আজ আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।”