Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এই সেঞ্চুরি তামিমের জন্যও স্বস্তির

5125478f-6d29-4900-8d98-45682de63538
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সেঞ্চুরির পর এতটা স্বস্তি তানজিদ হাসান তামিমকেই মানায়। ৫৮ তম বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম শতরানের মাইলফলক। তাতে বিপিএলে সপ্তম বাংলাদেশির ব্যাট থেকে এল অষ্টম সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পেয়েছে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের সংগ্রহ।   

অনিন্দ্য সুন্দর এক সেঞ্চুরির উদযাপন শেষ হতে তামিমের লেগে গেল ৩ মিনিটের মতো। চোখ বন্ধ করে আকাশে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতা জানালেন সৃষ্টিকর্তার। ব্যাট উঁচিয়ে পুরো গ্যালারির অভিবাদনের জবাব দিলেন, সেজদা দিলেন, তবুও বাকি ছিল। আবার বল ফেস করার আগে হেলমেট উঁচিয়ে আরেকবার গ্যালারির অভিবাদনের জবাব দিলেন তামিম।

মঙ্গলবারের ইনিংসের আগে টি-টোয়েন্টিতে তামিমের সর্বোচ্চ রান ছিল ৭০। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে আগের ম্যাচেই খেলেছেন ওই ইনিংস। এ দুটি ইনিংসে অনেকটা স্বস্তি এখন তামিমের। জাতীয় দলে “বড়” তামিমের বদলি ভাবা হচ্ছিল তাকে। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপটা বাজে কাটানোয় শঙ্কা বাড়ে “ছোট” তামিমকে নিয়ে।

ব্যাটে রান নেই বলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গা হয়নি তার। এক সিরিজ পর আবার সুযোগ পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দলে। যোগ্য হিসেবেই যে নির্বাচকরা তাকে রেখেছেন সেই প্রমাণটা বিপিএলে দিলেন তামিম। তাই এই তরুণের জন্য স্বস্তি একটু বেশি।

৬৫ বলে ১১৬ করে ওয়েন পারনেলের ইয়র্কারে সরাসরি বোল্ড হন। ড্রেসিংরুমের পথে যাওয়ার সময় দর্শকদের দাঁড়ানো অভিবাদন পেয়েছেন এই তরুণ। বিপক্ষ দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওয়েন পারনেল , জেসন হোল্ডাররা তামিমকে বাহবা দিয়ে গেলেন।

১১৬ রানে এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রানটাও নিজের করে নিয়েছেন তামিম। এই আসরে মোট তিনটি সেঞ্চুরি এসেছে। দুটিই দেশি ব্যাটারের। যুব বিশ্বকাপ জয়ী তামিমেরই সতীর্থ তাওহিদ হৃদয় অপর সেঞ্চুরিয়ান। হৃদয়ের পর নিজের নামটা দেশি সেঞ্চুরিয়ানদের তালিকায় তুলেছেন তামিম।

আগের সেঞ্চুরিয়ানদের মাঝে তামিম ইকবালের আছে দুটি। এছাড়া মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাব্বির রহমানের আছে একটি করে সেঞ্চুরি। বিপিএলে মোট সেঞ্চুরি আছে ৩০টি।

তামিমের সেঞ্চুরিতে খুলনাকে বিশাল টার্গেট দেয় চট্টগ্রাম। এনামুল হক বিজয়দের জন্য এই চ্যালেঞ্জ টপকানো ছিল কঠিন। দিন শেষে চ্যালেঞ্জ জেতা হয়নি বিজয়দের। মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৬৫ রানের হার হজম করে খুলনা। বিজয়ের ৩৫ ও শেই হোপের ৩১ খুলনার সর্বোচ্চ দুটি ইনিংস। চট্টগ্রামের শুভাগত হোমের ২৫ রানে ৩ ও বিলাল খানের ১৩ রানে ২ উইকেট নেন।

লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতে প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। প্লে অফ নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার জিততেই হতো তাদের। লক্ষ্য পূরণ করে ১২ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠেছে চট্টগ্রাম।

খুলনা ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে। নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও খুলনাকে প্লে অফ নিশ্চিতের জন্য ফরচুন বরিশালের শেষ ম্যাচে হারের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত