জিততে দরকার ছিল ১১৪ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোটেও কঠিন নয়। কিন্তু বাংলাদেশ পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ৪ রানে। ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেই নিশ্চিত জিততে যাওয়া ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে। যদিও তানজিম হাসান সাকিব ব্যাটারদের দোষ দেখছেন না। তিনি দুষছেন ভাগ্যকে।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটারদের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে। বলের আচরণ একেক সময় একেক রকম হচ্ছে। তবে লক্ষ্যের পথে ভালোমতোই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৬ বলে ১১ রানের হিসাব মেলাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহরা।
আবারও টপ অর্ডার হতাশ করেছেন। এরপরও ব্যাটারদের চেষ্টায় কমতি দেখছেন না তানজিম। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার বলেছেন, “লো স্কোরিং এই ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। আমাদের ব্যাটাররা ভালো ব্যাট করেছে, তবে ওদের বোলাররা অনেক ভালো করছে। এই উইকেটে রান করা সহজ নয়। ব্যাটাররা অনেক চেষ্টা করেছে। আমরা দুর্ভাগা ছিলাম, তাই জিততে পারিনি।”
আইপিএল কাঁপিয়ে আসা প্রোটিয়া ব্যাটারদের সামনে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। এরপরও জিততে না পারায় হতাশা আছে, তবে এই হারে আটকে থাকতে চাইছেন না তানজিম। চোখ এখন তার পরের দুই ম্যাচে, “ক্রিকেট হলো টিম গেম। কখনও বোলাররা ভালো করবে, ব্যাটাররা ব্যাকআপ করবে। আবার কখনও ব্যাটাররা ভালো করবে, বোলাররা ব্যাকআপ করবে। এটা শেষ পর্যন্ত দলীয় খেলা।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “আমরা চেষ্টা করছি যেন দলে খুব ভালো সমন্বয় হয়। আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী। আশা করি পরের দুই ম্যাচ অনেক ভালো করব। দুই ম্যাচে জিতে পরের রাউন্ডে যেতে পারব।”
পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। যে দলটির বিপক্ষে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে হেরেছিল বাংলাদেশ। তানজিম অবশ্য অতীত নিয়ে ভাবছেন না, “ওটা (২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ) এখন অতীত। নেদারল্যান্ডসের কাছে আমরা যে ম্যাচে হেরেছি, সেটা ছিল ওয়ানডে। এখন আমরা টি টোয়েন্টি খেলছি, যেটা একেবারেরই ভিন্ন একটা ফরম্যাট। মানসিকভাবে চিন্তা করলে আমরা অনেক শক্ত আছি। আমরা যদি এভাবে খেলতে থাকি, কোনও প্রতিপক্ষই ব্যাপার নয়।”