Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

দলে দুষ্টুরা আছে, টাইট দিয়ে রাখতে হবে : তারেক রহমান

tarek rahman
[publishpress_authors_box]

পরিবারের ভেতর যেমন ‘দুষ্টুরা’ থাকে, তেমন দলের ভেতরও ‘দুষ্টুরা’ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই দুষ্টুদের টাইট দিয়ে রাখতে হবে। তারা হয়তো দলের অনেক ক্ষতি করে ফেলছে।

বুধবার টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ত বিষয়ক কর্মশালায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, “কী করলে জনগণ আপনাকে আরও পছন্দ করবে তা আপনাদের বুঝতে হবে। আপনার অধীনে অনেক নেতাকর্মী থাকবে। তাদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবারের দুষ্টু বাচ্চাদের যেমন টাইট দিয়ে রাখতে হয়, তেমনি দলের ভেতরও দুষ্টুরা আছে, থাকতে পারে। আমাদের এই দুষ্টুদের টাইট দিয়ে রাখতে হবে। তারা হয়তো দলের অনেক ক্ষতি করে ফেলছে।”

দলের নেতাকর্মীরা অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন, জেল খেটেছেন। এসব কষ্টে কেউ যেন পানি ঢেলে দেওয়ার সুযোগ না পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিছু লোক তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের সব কষ্টে পানি ঢেলে দিচ্ছে। কেন তাদেরকে সেই সুযোগ দেবেন? মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। আপনাদেরও জনগণের দিকে তাকাতে হবে।”

গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির বহু নেতাকর্মীর বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবেও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এই নির্যাতনের জবাব যদি আমরা তাদের মতো করে দিই, তাহলে তো হবে না। আমরা এর জবাব ৩১ দফা সফল করার মাধ্যমে দেব। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তাদের জবাব দেওয়া হবে।”

গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন দেশের মানুষ জানতে চায় বিএনপি তাদের জন্য কী করবে? তারেক রহমান বলেন, “আমরা আস্থার একটা পর্যায়ে আছি। এই আস্থা ধরে রাখতে হবে। ভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন পাওয়াই হলো জনগণের আস্থার প্রতিফলন। মানুষ জানতে চায়, আমরা তাদের জন্য কী করব? এখন শুধু কথায় চিড়া ভিজবে না।

“জনগণকে আমাদের জবাব দিতে হবে। তাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। নির্বাচিত হলে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ পরবর্তী নির্বাচনের আগে জনগণকে দেখাতে হবে আপনি কী কী করতে পেরেছেন।”

আওয়ামী লীগ শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার যখন জনগণকে অধিকারবঞ্চিত করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল, তখন আমি বলেছিলাম ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। এর অর্থ হলো, জনগণের বাকস্বাধীনতা ও জনগণের অর্থনৈতিক অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশে কী হবে, তা বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে।

“টেক ব্যাক বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য দেশের মানুষের সহযোগিতায় দেশের গণতন্ত্রকামী দলগুলো স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। গত ১৬ বছর ধরে নিজেদের আখের গোছাতে তারা ভিনদেশে তাদের প্রভুকে খুশি করতে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত