Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি

তারেক রহমান।
তারেক রহমান।
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়েছিল।

রবিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমের আদালত মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে না নিয়ে এই অব্যাহতির আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে করা আরও কয়েকটি মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী কলাপাড়ায় করা ২০ কোটি টাকার একটি মানহানির মামলাও।

তারেক রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দলের বর্তমান চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দম্পতির বড় ছেলে। তিনি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মামলার দণ্ডিত আসামি। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তারেক, এরপর থেকে আর দেশে ফেরেননি তিনি।

জিয়াউর রহমানকে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা’ বলে ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করেছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।

এই মামলায় গত বছর ২ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপ-পরিদর্শক হাসানুজ্জামান আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত ২৯ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি আবার তদন্তের আবেদন করেন। আজ এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। তবে আদালত এবিষয়ে আদেশ না দিয়ে অভিযোগপত্র আমলে না নিয়ে তারেক রহমানকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লন্ডনে আয়োজিত এক কর্মীসভায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা হিসেবে বর্ণনা করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কর্মীসভায় তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য সংবলিত উদ্ভট যুক্তি দেন। তিনি জাতির পিতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছেন।’

তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার প্রধান নোবেশজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই দীর্ঘদিন পর লন্ডন থেকে ভিডিওবার্তায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। পরদিন ৬ আগস্ট নির্বাহী আদেশে মুক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে থাকা আদালতের বাধাও তুলে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত