হার দিয়ে জিম্বাবুয়ে সফর শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের। শেষটাও হলো হার দিয়েই। প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান হেরেছিল ৮০ রানে। এরপর অবশ্য সিরিজ জেতে ২-১’এ।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই ২-০’তে নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। তবে বুলাওয়েতে আজ (বৃহস্পতিবার) শেষ ম্যাচে তারা হেরেছে ২ উইকেটে। পাকিস্তানের ১৩৭ রানের চ্যালেঞ্জ ৮ উইকেট হারিয়ে ১ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জয় জিম্বাবুয়ের। এর একটি ২০২২ বিশ্বকাপে পার্থে রুদ্ধশ্বাস ১ রানের। আরেকটি ২০২১ সালে হারারেতে ১৯ রানে। ২ উইকেটের তৃতীয় জয়টা এল আজ বুলাওয়েতে।
পাকিস্তানের ১৩৭ রানের জবাবে ১৯ বলেই জিম্বাবুয়ে করেছিল ৪০! ৬ বলে ১৫ করা তদিওয়ানাশে মারুমণিকে ফিরিয়ে ঝড়টা থামান আগা সালমান।
এরপর ম্যাচেও ফিরে পাকিস্তান। তবে লক্ষ্যটা নাগালের বাইরে চলে যায়নি জিম্বাবুয়ের। শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৭ রান, হাতে উইকেট ৫টি।
শেষ ওভারে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ১২ রানে, হাতে উইকেট ৩টি। জাহানদাদ খানের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন টিনোতেন্ডা মাপোসা। পরের বলে ছক্কা! শেষ চার বলে দরকার ২ রান। পরের বলে তিনি নেন ১ রান। চতুর্থ বলে তাশিঙ্গা মুসেকিওয়াকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন জাহানদাদ। তবে পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে জিম্বাবুয়েকে স্মরণীয় জয় এন দেন রিচার্ড এনগারাভা।
৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৪৩ করে জিম্বাবুয়ের জয়ের অন্যতম নায়ক ব্রায়ান বেনেট। এছাড়া ডিয়ন মার্স ১৮ বলে ১৩, অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ২০ বলে ১৯ আর শেষ দিকে ৪ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন টিনোতেন্ডা মাপোসা। ২৪ রানে ৩ উইকেট আব্বাস আফ্রিদির।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান ১৯ রানে হারিয়েছিল ৩ উইকেট। অধিনায়ক সালমান ৩২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩১, তৈয়ব তাহির ১৪ বলে ২১, কাশিম আকরাম ১৫ বলে ২০ আর আরাফাত মিনহাস ২৬ বলে ২২* করায় স্কোরটা পৌঁছে ৭ উইকেটে ১৩২-এ। ব্লেসিং মুজারাবানি ২৫ রানে নেন ২ উইকেট।